দেওয়া সহজ হবে না। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও এরা যেমন স্বদেশকে ভোলেননি, তেমনি ভোলেননি তার ভাষা,সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এরা শুধু প্রবাসী লেখকনন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অবিভাজ্য অংশ। তাঁদের সাহিত্য ও গবেষণার ভেতর দিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য প্রতিদিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। ২০১৪ সালের বইমেলাকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হচ্ছে উত্তর আমেরিকার বাঙালি লেখকদের স্বনির্বাচিত রচনার সংকলন। এখন যারা নিয়মিত লিখছেন,তাদের খুব সামান্য কয়েকজনের লেখাই এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা গেছে।
ভ্যাঙ্কুভার বিশ্বের সেরা শহরের শীর্ষে। তাই কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভারকে বলা হয় ভূস্বর্গ! ভূস্বর্গ থেকে নেমে আসা বিশ্বের অন্যতম নােংরা শহর ঢাকাকে মনােয়ারা অর্থাৎ মৌয়ের কিছুতেই নরক মনে হচ্ছে না। বরং প্রতি মুহুর্তেই এই শহর, এই দেশ, এই দেশের মানুষগুলােকে তার আরাে আপন, আরাে কাছের, আরাে স্বজন মনে হচ্ছে। এতােদিন শাদা স্রোতের বিপরীতে ছিল, আজ যেন স্বজাতীয় কালচে-বাদামি মেঘলা যােতে মিশে গেছে মৌ। মুগ্ধ হয়ে দেখছে নানা ধরনের মানুষ। দেখছে মানুষের আচার-আচরণ, মানুষের ভিড়-ব্যস্ততা, মানুষের ভালােবাসা-কষ্ট, টিফিন-কেয়ারের টিনের বাটি, জটিল জ্যাম। ট্রাফিকবিহীন রিকশা-গাড়ির ধাক্কাধাকি। উভট হর্ন, বাংলা গালি! শিকড়ের সন্ধানে এসে মনােয়ারার কিসের এক টানে কোথায় যেন কি গেঁথে যাচ্ছে। বুকের ভেতর কি যেন কি আটকে যাচ্ছে, টের পাচ্ছে! ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নেমেই মনে পড়ছে সেই গানটি- ও আমার দেশের মাটি/তােমার কোলে ঠেকাই মাথা ।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক কিশাের নানাভাবে অবদান রেখেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি অস্ত্র হাতে নিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। বীরত্বের সাথে। তাদের মধ্যে সেলিম আকবর, শহিদুল ইসলাম লাল অন্যতম সেরতের কতিস্বরূপ তারা। বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন একটি গ্রামের অতি সাধারণ কিশাের লালু যুদ্ধে জড়ালেন, কীভাবে। | অসীম সাহসে গুড়িয়ে দিলেন শত্রুসেনাদের ক্যাম্প! | সেসব ভয়াবহ জীবনালেখ্য নিয়ে লেখা বীর বিচ্ছ। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইলে অস্ত্র জমা নিতে গিয়ে চমকে উঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। প্রায় শেখ রাসেলের সমবয়সী, রাসেলের সমউচ্চতার একটি কিশাের মুক্তিযােদ্ধা! বঙ্গবন্ধু আনন্দে-আবেগে কোলে নিয়ে আদর করলেন তাকে। চুমু খেলেন! বিয়াল্লিশ বছর আগের | সেসব কথা এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল।