×
Categories

Products tagged with 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়'

View as Grid List
অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

UPL0065
'অপরাজিত' বইয়ের ফ্লাপের লেখা অপরাজিত বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস। এটি 'পথের পাঁচালী'র অপু-কাহিনিরই সম্প্রসারিত রূপ। নিশ্চিন্দিপুরের অপুকে এই উপন্যাসে লেখক স্থাপন করেছেন এক বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে। পিতার মৃত্যু, মায়ের উচ্চাশাহীন গণ্ডীবদ্ধ জীবনের বন্ধন কেটে কলেজে ভর্তি হওয়া, কলেজ জীবনের নিদারুণ দারিদ্রের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবাহ, স্ত্রী অপর্ণার সাহচর্যে একটা অল্পস্থায়ী শান্তির নীড়রচনার প্রয়াস এবং অপর্ণার আকস্মিক মৃত্যুতে সে প্রয়াসের সমাধি। নিঃসঙ্গ শূন্যতার আক্রমণে এমনকি সদ্যোজাত পুত্র-কাজল সম্পর্কে অনীহা। চাদপানিতে উদ্দেশ্যহীন, ইতর-সংসর্গে অতিবাহিত জীবনযাত্রা। চাদপানি থেকে দিল্লির পূর্বগৌরবের স্মৃতিসমাকুল। ভগ্নাবশেষ ও মধ্যপ্রদেশের আরণ্য বিজনতা। প্রকৃতির অবাধ বিজনতায় এই নবদীক্ষার পর অপুর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন। বাল্যবান্ধবী অসুখী দাম্পত্যজীবনের শিকার লীলার সঙ্গে মধুর। সম্বন্ধ-সমবেদনার মধ্য দিয়ে প্রেমের কাছাকাছি পৌঁছনোর মুহূর্তে লীলার অতর্কিত আত্মহত্যায় এই ফুটমান প্রেমের অকাল পরিসমাপ্তি। অপুর কাশীযাত্রা। সেখানে নিশ্চিন্দিপুরের বাল্য সহচরী রানুদির সঙ্গে সাক্ষাৎ। মাতৃহারা কাজলকে নিয়ে নিশ্চিন্দিপুরে ঘর বাঁধবারা সঙ্কল্প নিয়ে গ্রামে প্রত্যাবর্তন। কিছুদিন সেখানে থাকার পর। কাজলকে রানুদির কাছে রেখে অপুর। নিরুদ্দেশযাত্রা। নিশ্চিন্দিপুর 'অপুকে। বাল্য-জীবনে কবি করিয়াছিল-প্রৌঢ় বয়সে তাহাকে দার্শনিকের ও যোগীর ধ্যানদৃষ্টি উপহার দিয়া তাহার দিগবিজয়-যাত্রার পাথেয় সঞ্চয়। করিয়া দিল। এই উচ্চতম দার্শনিক সুরেই এই মহাকাব্যের ন্যায় বিরাট উপন্যাসের পরিসমাপ্তি।
550.00৳ 468.00৳
পথের পাঁচালী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
পথের পাঁচালী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

পথের পাঁচালী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

UPL0071
নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের একেবারে উত্তরপ্রান্তে হরিহর রায়ের ক্ষুদ্র কোঠাবাড়ী। হরিহর সাধারণ অবস্থার গৃহস্থ, পৈতৃক আমলের সামান্য জমিজমার আয় ও দু-চার ঘর শিষ্য সেবকের বার্ষিকী প্রণামীর বন্দোবস্ত হইতে সাদাসিধাভাবে সংসার চালাইয়া থাকে। পূর্বদিন ছিল একাদশী। হরিহরের দূরসম্পর্কীয় দিদি ইন্দির ঠাকরুণ সকালবেলা ঘরের দাওয়ায় বসিয়া চালভাজার গুঁড়া জলখাবার খাইতেছে। হরিহরের ছয় বৎসরের মেয়েটি চুপ করিয়া পাশে বসিয়া আছে ও পাত্র হইতে তুলিবার পর হইতে মুখে পুরিবার পূর্ব পর্যন্ত প্রতিমুঠা ভাজার গুঁড়ার গতি অত্যন্ত করুণভাবে লক্ষ্য করিতেছে এবং মাঝে মাঝে ক্রমশূন্যায়মান কাঁসার জামবাটির দিকে হতাশভাবে চাহিতেছে। দু-একবার কি বলি বলি করিয়াও যেন বলিতে পারিল না। ইন্দির ঠাকরুণ মুঠার পর মুঠা উঠাইয়া পাত্র নিঃশেষ করিয়া ফেলিয়া খুকীর দিকে চাহিয়া বলিল, ও মা, তোর জন্যে দুটো রেখে দেলাম না?-ওই দ্যাখো! মেয়েটি করুণ চোখে বলিল, তা হোক পিতি, তুই খা- দুটো পাকা বড় বীচে-কলার একটা হইতে আধখানা ভাঙ্গিয়া ইন্দির ঠাকরুণ তাহার হাতে দিল। এবার খুকীর চোখ-মুখ উজ্জ্বল দেখাইল-সে পিসিমার হাত হইতে উপহার লইয়া মনোযোগের সহিত ধীরে ধীরে চুষিতে লাগিল।। ও ঘর হইতে তাহার মা ডাকিল, আবার ওখানে গিয়ে ধন্না দিয়ে বসে আছে? উঠে আয় ইদিকে। ইন্দির ঠাণ বলিল, থাক্ বৌ -আমার কাছে বসে আছে, ও কিছু করছে না। থাক্ বসে তবুও তাহার মা শাসনের সুরে বলিল, না, কেনই বা খাবার সময় ওরকম বসে থাকবে? ওসব আমি পছন্দ করি নে; চলে আয় বচি উঠে খুকী ভয়ে ভয়ে উঠিয়া গেল। ইন্দির ঠাণের সঙ্গে হরিহরের সম্পর্কটা বড় দূরের। মামার বাড়ীর সম্পর্কে কি রকমের বোন। হরিহর রায়ের পূর্বপুরুষের আদি বাড়ী ছিল পাশের গ্রামে যশড়াবিষ্ণুপুর। হরিহরের পিতা রামচাঁদ রায় মহাশয় অল্প-বয়সে প্রথমবার বিপত্নীক হইবার পরে অত্যন্ত ক্ষোভের সহিত লক্ষ্য করিলেন যে দ্বিতীয়বার তাহার বিবাহ দিবার দিকে
330.00৳ 280.00৳
আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

UPL0066
মানুষের বসতির পাশে কোথাও নিবিড় অরণ্য নাই। অরণ্য আছে দূর দেশে, যেখানে পতিত-পক্ব জম্বুফলের গন্ধে গোদাবরী-তীরের বাতাস ভারাক্রান্ত হইয়া ওঠে, 'আরণ্যক' সেই কল্পনালোকের বিবরণ। ইহা ভ্রমণবৃত্তান্ত বা ডায়েরি নহে-উপন্যাস।
440.00৳ 374.00৳
ইছামতী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ইছামতী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ইছামতী - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

UPL0067
ইছামতী একটি ছোট নদী। অন্তত যশোর জেলার মধ্য দিয়ে এর যে অংশ প্রবাহিত, সেটুকু। দক্ষিণে ইছামতী কুমির-কামট-হাঙ্গর-সংকুল বিরাট নোনা গাঙে পরিণত হয়ে কোথায় কোন্ সুন্দরবনে সুদৃরি-গরান গাছের জঙ্গলের আড়ালে বঙ্গোপসাগরে মিশে গিয়েছে, সে খবর যশোর জেলার গ্রাম্য অঞ্চলের কোনো লোকই রাখে না। ইছামতীর যে অংশ নদীয়া ও যশোর জেলার মধ্যে অবস্থিত, সে অংশটুকুর রূপ সত্যিই এত চমত্তার, যারা দেখবার সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা জানেন। কিন্তু তারাই সবচেয়ে ভালো করে উপলব্ধি করবেন, যারা অনেকদিন ধরে বাস করচেন এ অঞ্চলে। ভগবানের একটি অপূর্ব শিল্প এর দুই তীর, বনবনানীতে সবুজ, পক্ষী- কাকলিতে মুখর।। মড়িঘাটা কি বাজিতপুরের ঘাট থেকে নৌকো করে চলে যেও চাদুড়িয়ার ঘাট পর্যন্ত দেখতে পাবে দুধারে পলতেমাদার গাছের লাল ফুল, জলজ বন্যেবুড়োর ঝোপ, টোপাপানার দাম, বুনো তিৎপল্লা লতার হলদে ফুলের শোভা, কোথাও উঁচু পাড়ে প্রাচীন বট-অশ্বথের ছায়াভরা উলুটিবাচড়া-বৈচি ঝোপ, বাঁশঝাড়, গাঙশালিখের গর্ত, সুকুমার লতাবিতান। গাঙের পাড়ে লোকের বসতি কম, শুধুই দূর্বাঘাসের সবুজ চরভূমি, শুধুই চখা বালির ঘাট, বনকুসুমে ভর্তি ঝোপ, বিহঙ্গ কাকলি-মুখর বনান্তস্থলী। গ্রামের ঘাটে কোথাও দু'দশখানা ডিঙি নৌকো বাঁধা রয়েছে। কৃচিৎ উঁচু শিমুল গাছের আঁকাবাঁকা শুকনো ডালে শকুনি বসে আছে সমাধিস্থ অবস্থায়- ঠিক যেন চীনা চিত্রকরের অঙ্কিত ছবি। কোনো ঘাটে মেয়েরা নাইচে, কাঁখে কলসি ভরে জল নিয়ে ডাঙায় উঠে, স্নানরতা সঙ্গিনীর সঙ্গে কথাবার্তা কইচে। এক-আধ জায়গায় গাঙের উঁচু পাড়ের কিনারায় মাঠের মধ্যে কোনো গ্রামের প্রাইমারি ইস্কুল; লম্বা ধরনের চালাঘর, দরমার কিংবা কঞ্চির বেড়ার ঝাপ দিয়ে ঘেরা; আসবাবপত্রের মধ্যে দেখা যাবে ভাঙ্গা নড়বড়ে একখানা চেয়ার দড়ি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা, আর খানকতক বেঞ্চি। সবুজ চরভূমির তৃণক্ষেত্রে যখন সুমুখ জ্যোৎস্নারাত্রির জ্যোৎস্না পড়বে, গ্রীষ্মদিনে সাদা থোকা থোকা আকন্দফুল ফুটে থাকবে, সেঁদালি ফুলের ঝাড় দুলবে নিকটবর্তী বনঝোপ থেকে নদীর মৃদু বাতাসে, তখন নদীপথ-যাত্রীরা দেখতে পাবে নদীর ধারে পুরোনো পোড়ো ভিটের ঈষদুচ্চ পোতা, বর্তমানে হয়ত আকন্দঝোপে ঢেকে ফেলেচে তাদের বেশি অংশটা, হয়ত দু-একটা উইয়ের ঢিপি গজিয়েচে কোনো কোনো ভিটের পোতায়। এইসব ভিটে দেখে তুমি স্বপ্ন দেখবে অতীত দিনগুলির, স্বপ্ন দেখবে সেইসব মা ও ছেলের, ভাই ও বোনের, যাদের জীবন ছিল একদিন এইসব বাস্তুভিটের সঙ্গে জড়িয়ে। কত সুখদুঃখের অলিখিত ইতিহাস বর্ষাকালে জলধারাঙ্কিত ক্ষীণ রেখার মতো আঁকা হয় শতাব্দীতে শতাব্দীতে এদের বুকে। সূর্য আলো দেয়, হেমন্তের আকাশ শিশির বর্ষণ করে, জ্যোৎস্না-পক্ষের চাদ জ্যোৎস্না ঢালে এদের বুকে।সেইসব বাণী, সেইসব ইতিহাস আমাদের আসল জাতীয় ইতিহাস। মুক-জনগণের ইতিহাস, রাজা-রাজড়াদের বিজয়কাহিনী নয়। ১২৭০ সালের বন্যার জল সরে গিয়েছে সবে। পথঘাটে তখনো কাদা, মাঠে মাঠে জল জমে আছে। বিকেলবেলা ফিঙে পাখি বসে আছে। বাবলা গাছের ফুলে-ভর্তি ডালে।। নালু পাল মোল্লাহাটির হাটে যাবে পান-সুপুরি নিয়ে মাথায় করে। মোল্লাহাটি যেতে নীলকুঠির আমলের সাহেবদের বটগাছের ঘন ছায়া পথে পথে। শ্রান্ত নালু পাল মোট নামিয়ে একটা বটতলায় বসে গামছা ঘুরিয়ে বিশ্রাম করতে লাগলো।
480.00৳ 408.00৳
Picture of Support | +8809613717171

Support | +8809613717171

24 Hours a Day, 7 Days a Week

Picture of Happy Return Policy

Happy Return Policy

All over Bangladesh

Picture of Worldwide Shipping

Worldwide Shipping

We Deliver Product All Over the World

Picture of Fastest Delivery

Fastest Delivery

Own Distribution Channel