বর্ণাঢ্য অভিজ্ঞতার ঝুলি তার কাঁধে, তিনি ছুটছেন এক। ভূ-খণ্ড থেকে অন্য ভূ-খণ্ডে। সে-তাে অনেক পুরনাে। কথা, আজ, এখন, পঞ্চাশ পেরিয়ে এসে বদলে গেছে। তঁার দেখার চোখ। এখন এই পৃথিবীকে তিনি দেখেন। ধর্ম, বর্ণ, মতবাদ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ। আবাস হিশেবে। তিনি বলেন, নিজের জাত-ধর্মকে। ভালােবাসায় কোন দোষ নেই, অন্যের জাতকে ছােট। করাই অপরাধ। এটাই সাম্প্রদায়িকতা। তিনি এক । জাদুকরী ভাষায় পথ চলার গল্প বলতে বলতে আমাদের জানিয়ে দেন কোথায় কি অন্যায় হচ্ছে, এর থেকে। পরিত্রাণের কি উপায়। তাই তার গদ্য শুধু সুখপাঠ্যই। নয়, এই পৃথিবীর জন্য উপকারী। দাগচিত্র’ গ্রন্থে তিনি। দক্ষ চিত্রকরের মতাে অক্ষর, শব্দ, বাক্য দিয়ে নির্মাণ। করেছেন, অসাধারণ সব চিত্রকর্ম।
ধরুন মাঝ রাতে আপনি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ যদি কোনো আলোকিত বস্তু আপনার চোখে পড়ে, যেটি একবার সোজা মাটিতে নামছে কিংবা পাশের পুকুরে ডুবে যাচ্ছে আবার উপরে উঠে যাচ্ছে! তাহলে আপনি কী মনে করবেন? আপনি হয়ত ভাববেন, হবে হয়ত কিছু। এত ভেবে লাভ কী! কিংবা জিন-ভূত ভেবে একটু ভয় পেয়ে পরের দিন মনের আনন্দে সব ভুলে যাবেন। কিন্তু আপনার মনে এর পিছনের প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন জাগবে না, যা পৃথিবী নামক গ্রহে আবিষ্কৃত হয়েছে। পৃথিবীর আরেক প্রান্তের মানুষরা কিন্তু এইসব নিয়ে প্রশ্ন করছে, চিন্তা করছে। যে কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নিয়েই তারা প্রশ্ন করে। যার কারণে তারা বিভিন্ন নতুন জিনিস আবিস্কার করছে শিক্ষা ও সভ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা বিয়ের অনুষ্ঠানে খেতে গেলে বকশিস দিচ্ছি, জিপিএ ফাইভ পেয়ে মেধাবী হয়ে যাচ্ছি! গতানুগতিক বিষয় নিয়েই আমরা ব্যস্ত। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আধুনিক বিশ্ব থেকে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এই বইটিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক মনে করা এমন অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে, যে গুলো আদৌ স্বাভাবিক নয়। যেগুলো নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত।