বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয়েছিল নিয়মতান্ত্রিক পথেই। তবে চূড়ান্তপর্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটে, আসে স্বাধীনতা। লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ও তাঁর সতীর্থরা ষাটের দশকের শুরুতে পাকিস্তানি সেনাছাউনিতে বসে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন, করেছিলেন বিদ্রোহের পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ কিছু বাঙালি রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এর ফলে তাঁদের ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’য় অভিযুক্ত হতে হয়। তাঁরা সফল হননি সত্য। তবে তাঁদের দেখানো পথেই একাত্তরে বাঙালি সৈনিকরা বিদ্রোহ করেছেন; সেনাছাউনি থেকে অস্ত্র হাতে বেরিয়ে জনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন। সেনা-বিদ্রোহের পরিকল্পনা বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে একটি অনন্য অধ্যায়। মূলধারার ইতিহাসবিদদের কাছে তা যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। কোনো কোনো ইতিহাস রচয়িতা ঘটনাটি এড়িয়ে গেছেন। কেউ বা আগরতলা মামলাকে দেখেছেন কেবল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কারসাজি হিসেবে। এর আড়ালের সত্য অনুসন্ধানে সচেষ্ট হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক আবু সাঈদ খান। এই বইয়ে তিনি কিছু অপ্রকাশিত তথ্যও তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব স্বাধীনতা-সংগ্রামীর জীবনবৃত্তান্ত, একাত্তরে তাঁদের অবস্থান এবং স্বাধীনতা-উত্তর ভূমিকার ওপরও আলোকপাত করেছেন। এ বই মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে নতুন সংযোজন, পাঠকদের সামনে যা ইতিহাসের অনালোকিত ও অনালোচিত অধ্যায় তুলে ধরেছে।
অক্সিজেনশূন্যতার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভারসাম্যহীনতা নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১০ মে জন ক্রাকাওয়ার এভারেস্টের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছালেন। ৫৭ ঘণ্টা তিনি ঘুমাননি । ২৯,০২৮ ফুট (সাধারণত ওই উচ্চতায় আকাশে জেটলাইনার এয়ারবাস অবস্থান করে) উঁচু থেকে যখন তিনি বিপজ্জনক অবতরণ শুরু করলেন অন্য ২০ জন পর্বতারোহী তখনো নাছোড়বান্দার মতো নিজেদের ওপরের দিকে টেনে নিচ্ছিলেন। আকাশটা ঘন মেঘে ছেয়ে যাচ্ছিল, সে ব্যাপারে কেউ সচেতন ছিলেন না। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জায়গা এভারেস্টে, প্রাণঘাতী ওই দিনে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তারই ভয়ংকর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে ইনটু থিন এয়ার (১৯৯৭) বইয়ে। এ মর্মান্তিক কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা পড়তে পড়তে পাঠক ক্রাকাওয়ারের সঙ্গে কাঠমান্ডু থেকে পর্বতের চূড়ায় এক দুর্ভাগ্যজনক অভিযানে হাজির হবেন, যেখানে আরোহীরা অহেতুক ঔদ্ধত্য, লোভ, ভুল মূল্যায়ন ও সম্পূর্ণ দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন; আটকা পড়েছেন পর্বতের ভয়ঙ্কর হিংস্রতার ফাঁদে। এটি কোনো কল্পকাহিনি নয়, বাস্তব ঘটনার অভাবনীয় রোমাঞ্চকর বর্ণনা। লেখকের বুদ্ধিমত্তা আর ঘটনাবলির অনবদ্য বিবরণের কারণে ইনটু থিন এয়ার শেষ পর্যন্ত একটি ভয় জাগানো থ্রিলারে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী ৩০ লাখ কপির বেশি বিক্রি হয়েছে এ বই ।
ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের প্রফেসর নিয়াজী গবেষণা করছিলেন সময় পরিভ্রমণ নিয়ে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, সময়কে যেভাবে দেখি আমরা, সময় তেমন নয়। সময়ের প্রকৃত রূপ বুঝতে হলে ডাইমেনশনগুলোকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে হবে। তবে সেটা কি মানব সভ্যতার জন্য ভালো হবে? নাকি আমাদের চেনা-জানা রিয়েলিটিকে বদলে দেবে চিরতরে? ওদিকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র আবীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রহস্যময় এক ধরনের মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কার করে। দেখতে অনেকটা মানুষের মতো হলেও তাদের মাথা অস্বাভাবিক রকমের বড়। ক্যাম্পাসের পাহাড়ে, ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে তারা। বের হয় অন্ধকার নামলে। এই প্রাণীগুলো আসলে কী? কোথা থেকে এসেছে? কেন এসেছে?
তানজিরুল ইসলামের জন্ম লালমনিরহাট জেলায়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি শৈশব থেকে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ। ধূলার-সাহিত্যের প্রতি রয়েছে আলাদা ঝোঁক। অনুভূতিহীন’ নামক তার একটি সাই-ফাই গল্প প্রথম প্রকাশিত হয় কলেজ-ম্যাগাজিনে। এরপর বাতিঘর প্রকাশনীর থুলার গল্পসঙ্কলন-৪ ছাড়াও ‘গল্পের আসর’ এবং ‘বিসর্গ’সহ কিছু সঙ্কলনে তার বেশ কয়েকটি মৌলিক গল্প প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন থৃলার লেখক হারলান কোবেনের টেল নাে ওয়ান তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। 'প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায় তার প্রথম মৌলিক সায়েন্সফিকশন উপন্যাস।
ভেবে দেখুন, বাংলাদেশের প্রথম নভােচারি আপনি, উৎসাহে টগবগ করছেন আর কদিন পরেই রকেটে চড়ে বসার জন্য। কিন্তু ঠিক এই সময়েই আবিষ্কার করলেন একটা খুনের দায়ে ফাঁসানাে হচ্ছে আপনাকে, স্পেস স্টেশনের বদলে হয়তাে যেতে হবে জেলে। লাশ গুম করবেন কিভাবে? আর স্পেস স্টেশনে যেতে পারলেও শান্তি নেই—আপনি জানেন না আমেরিকান এবং রাশিয়ান নভােচারিরা কি গােপন মিশন নিয়ে এসেছে, তারা মহাকাশেই একে অন্যকে মারার জন্য উঠেপড়ে লাগবে কিনা। অভিনব কোনাে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে কি তারা? কেনই বা আপনার এক সহকর্মী উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করলাে? মহাকাশ থেকে আসা রহস্যময় কোনাে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি? বিভং কাকে বলে? এদিকে, যে মহাশক্তিধর অশুভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাত থেকে কয়েক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে মানুষ, সে আবার ফেরার চেষ্টা করছে না তাে? পৃথিবীব্যাপী তার সমর্থকরা কিসের আশায় বিশৃঙ্খলা চালাচ্ছে? সবচেয়ে বড় কথা, সবকিছু বিগড়ে গেলে কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন আপনি? সুপারন্যাচারাল-থলার শ্বাপদ সনে দিয়ে শুরু, তারপর স্পাইথুলার বাজিকর আর বাজি দিয়ে পাঠকপ্রিয় লেখক নাবিল মুহতাসিম এবার টান টান উত্তেজনার সায়েন্সফিকশন-থৃলার বিভং নিয়ে হাজির পাঠকের সামনে।
শাফায়েত জেনেটিক্সের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। এমন সময় তার সামনে এলাে অনাকাঙ্খিত এক সুযােগ। কিন্তু সে কি ধারণা করেছিল সুযােগটার সাথে জড়িয়ে থাকবে তার জীবনের ভয়াবহ এক অধ্যায়?। ড. নাওয়াজ রহমান বিশ্বখ্যাত এক জীববিজ্ঞানী। খ্যাতি আর প্রতিপত্তির নেশায় সে কি বিসর্জন দিয়েছে নিজের মূল্যবােধ? তার মতাে একজন সম্মানীত বিজ্ঞানী কি নামতে পারে এতটা নিচে?। মােহাম্মদপুরের এক কবরস্থানের কাছ থেকে অপহৃত হলাে এক পথশিশু। কেন? কী পরিণতি তার? গভীর রাতে গােরস্থানে সদ্যমৃত কিশােরির লাশ তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো ‘খুচরা আফসার। পুলিশ তার কাছে যা শুনলাে, তা শুনে যারপরনাই বিস্মিত। কী করবে তারা। এখন? সাবের বুকের ভেতরে বয়ে বেড়ায় বিষন্নতার সমুদ্র। কিন্তু কেন? ঘটনাক্রমে শাফায়েত পড়ে যায় ভয়াবহ বিপদে। কী করে পরিত্রাণ মিলবে ওর? প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায়-এর পর তানজিরুল ইসলাম এবার হাজির হয়েছেন টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এক সায়েন্স-ফ্যান্টাসি উপন্যাসিকা নিয়ে।