Goofi Borno golpo – 2 (বর্ণগল্প – ২) সিরিজে বাংলা বর্ণমালার ৫ টি বর্ণ (ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ) নিয়ে ৫ টি গল্পের বই রয়েছে। এটি মূলত ৪-৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য উপযোগী। বাংলা ভাষায় শিশুদের বিভিন্ন বর্ণ, শব্দের পাশাপাশি প্রতিটি অক্ষর দিয়ে তৈরি এই গল্পগুলোতে নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের মেসেজ রয়েছে যেন শিশুদের মধ্যে এই গুণগুলো তৈরি হয়।
গুফির ‘বর্ণগল্প সিরিজ – ৪’ (Goofi Borno golpo 4) এ মোট পাঁচটি গল্প আছে। ৪ থেকে ১০ বছর বয়স উপযোগী এই গল্পগুলো মূল ফোকাস শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। Goofi এর বর্ণগল্প সিরিজের ৪ নাম্বার সিরিজ এটি। এখানে চ, ছ, জ, ঝ, ঞ অক্ষরগুলোকে ঘিরে ৫ টি গল্প তৈরি করা হয়েছে। বইগুলোর নাম: ১। চ এর গল্প – কবি চিতাবাঘ ২। ছ এর গল্প – ছবি আঁকিয়ে টিয়া ৩। জ এর গল্প – সুখী মানুষের জামা ৪। ঝ এর গল্প – ঝাঁসির রাণী ৫। ঞ এর গল্প – আকাশে উড়েছি যেদিন
ভূতের গল্প, রাক্ষসের গল্প আমাদের সবার খুব প্রিয়। ঠাকুমার ঝুলি তো আমরা সবাই পড়েছি। আমাদের রূপকথায় কতোরকম ভূত আর রাক্ষস যে আছে! এই গল্পটি এমন একটা ছেলের যে খালি ভূতের গল্প শুনতে ভালোবাসে। তার ডাক নাম রঞ্জন। একদিন সে ঠিক করে, ভূতদের ইন্টারভিউ নেবে। তাদের গল্পগুলো একত্র করবে। তারপর সত্যি সত্যি একদিন খাতা-কলম নিয়ে বেরিয়ে গেলো ভূতেদের সাক্ষাৎকার নিতে। কিন্তু কেন? কারণ তোমরা যেন সেই মজার সব গল্পগুলো পড়তে পারো। ভাগ্যিস সেই ছেলেটি গিয়েছিলো। তা না হলে আমরা হয়তো ঠাকুমার ঝুলির দেখাই পেতাম না। চলো পড়ি সেই গল্প। আর পরিচিত হই আমাদের ভূতসমাজের সাথে।
তোমরা সবাই জানো, ৯ মাস ধরে পাকিস্তানী মিলিটারির সাথে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। যেসব মানুষ কখনও বন্দুক ধরেনি, তারা হারিয়ে দিলো এত বড় একটা সেনাবাহিনীকে। কিন্তু কিভাবে? ১৯৭১ সালে কয়েক লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তখন সবার ঘরে টিভি ছিলো না। ছিলো না ইন্টারনেট। আর স্মার্টফোন তো আবিষ্কারই হয়নি। সে সময় খবর পৌঁছে দেয়ার একমাত্র উপায় ছিলো রেডিও বা বেতার। এই গল্পটি সেসব সুপারহিরোদের নিয়ে, যারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যুগিয়েছেন সাহস আর আত্মবিশ্বাস।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবাই যে খালি অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছিলো এমন নয়। চল্লিশ হাজার রাজাকার, আল-বদর ছাড়া বাকি সাড়ে সাত কোটি মানুষই কোন না কোনভাবে অংশ নিয়েছিলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে। গ্রামের মহিলারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়ে, থাকার জায়গা দিয়ে সাহায্য করেছে। তোমাদের মতো কিশোররাও পাকিস্তানি বাহিনী আর রাজাকার বাহিনী সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। এমনকি সেই সময়ের ফুটবল খেলোয়াড়রাও নেমেছিলেন যুদ্ধে। সেই যুদ্ধ মাঠের যুদ্ধ। কিন্তু খেলার মাঠে আবার কিভাবে যুদ্ধ হয়? কিভাবে তৈরি হয়েছিলো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল? কেনই বা তৈরি হয়েছিলো? আর কিভাবে তারা ফুটবল খেলে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলেন? এই ঐতিহাসিক গল্পটি সেটা নিয়েই।
পহেলা বৈশাখের দিন আমরা নতুন জামা পরে একসাথে ঘুরতে যাই। বৈশাখী মেলা, হালখাতা, পিঠা উৎসব – কত্ত কি! কিন্তু অনেক বছর আগে ছিলো না বাংলা মাস। বৈশাখ, আষাঢ়, শ্রাবণ – এই নামগুলোই বা কিভাবে এলো? কিভাবে এলো আমাদের প্রিয় বাংলা নববর্ষ – সেটা নিয়ে এই গল্পটি, আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগের।