প্রফেসর তিবুতি লামা। অংশ না নেওয়ার পরও কোনো একটি আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি খেলায় আন-অফিশিয়ালি চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল তাকে। সত্যি কি ঘটেছিল ঘটনাটি? নইলে অদ্ভুতদর্শন এই মানুষটিকে ‘থিঙ্কিং মেশিন’ কেন বলা হবে? ঘটনাচক্রে থিঙ্কিং মেশিন প্রফেসর তিবুতি লামাকে এমন এক জেলখানায় আটক করা হয়েছে, যেখানে আসামিরা সবাই মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত। সেখান থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে পালিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি। এখন? এতগুলো সতর্ক চোখ এড়িয়ে ‘কুখ্যাত’ ১৩ নম্বর সেল থেকে কীভাবে পালাবেন প্রফেসর? ...দেশের খবরের কাগজগুলো মেতে উঠল এক ভুতুড়ে গাড়ি নিয়ে। গাড়িটাকে ‘ফাঁদ’-এর এ প্রান্ত থেকে শুধু ঢুকতেইদেখা যায়, ও প্রান্ত থেকে আর বেরোতে দেখা যায় না। সমস্যা কোথায়—রাস্তায়, না গাড়িতে? রহস্যভেদের দায়িত্ব নিলেন প্রফেসর।পাঠক, এক মলাটে দুটি আশ্চর্য কাহিনি। যাত্রা শুরু করুন প্রফেসর তিবুতিলামার সঙ্গে।
আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অলক্ষ্যে যুক্ত হয়ে পড়ল কয়েকজন মানুষ। লোকলজ্জায় গুটিয়ে গেছে হামলাকারীদের পরিবার। যার লাশ আনতে যাবে তারা সে আত্মীয়, নাকি জঙ্গি? শাহরিয়ারকে দাফন করার ইচ্ছায় সাফা ছুটে মরছে। ভাইবোনের আবেগের বন্ধন তাদের। শাহরিয়ারের সঙ্গে আরেক সুতোয় বাঁধা দিলরুবা, দিলরুবার সঙ্গে শফি। বিপরীত এ বন্ধন আবেগের, উপলব্ধির, দায়ের। শফি গৃহশিক্ষক। নিত্য সে তরুণদের উন্মোচিত মন দেখতে পায়। শফি কল্পনাজীবীও। দেখতে পায়, ভূগোল আর ইতিহাস পেরিয়ে কার কার যে আশনাই জীবন্ত হয়ে আছে তার চারপাশের মানুষের মনের গভীরে। দুনিয়াজুড়ে ছড়ানো সেই মাকড়সার জালে একেকটা মানুষ আটকে আছে পোকার মতো। কার দায়ই-বা নিতে পারে সে, নিছক তার কল্পিত চরিত্র আবু ইসহাককে মুক্তির অস্পষ্ট এক পথ দেখিয়ে দেওয়া ছাড়া?