আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবাই যে খালি অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নেমেছিলো এমন নয়। চল্লিশ হাজার রাজাকার, আল-বদর ছাড়া বাকি সাড়ে সাত কোটি মানুষই কোন না কোনভাবে অংশ নিয়েছিলো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে। গ্রামের মহিলারা মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার দিয়ে, থাকার জায়গা দিয়ে সাহায্য করেছে। তোমাদের মতো কিশোররাও পাকিস্তানি বাহিনী আর রাজাকার বাহিনী সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। এমনকি সেই সময়ের ফুটবল খেলোয়াড়রাও নেমেছিলেন যুদ্ধে। সেই যুদ্ধ মাঠের যুদ্ধ। কিন্তু খেলার মাঠে আবার কিভাবে যুদ্ধ হয়? কিভাবে তৈরি হয়েছিলো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল? কেনই বা তৈরি হয়েছিলো? আর কিভাবে তারা ফুটবল খেলে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলেন? এই ঐতিহাসিক গল্পটি সেটা নিয়েই।
বিশ্ব ফুটবলের এক চমকপ্রদ ও মজার ইতিহাস এই বই। বইটি পড়তে পড়তে আপনি কখনো হারিয়ে যাবেন মিং যুগের চীন দেশে, আবার কখনো কয়েক শ বছর আগের ইংল্যান্ডে। সেখান থেকে নেমে আসবেন বর্তমানকালের ফুটবলের তীর্থভূমি লাতিন আমেরিকায়। দেখবেন কেমন করে সাহেবদের চালু করা খেলায় তাদের এককালের শাসিতরাই আজ তাদের হারিয়ে দিচ্ছে। খেলা হয়ে উঠছে মুক্তির লড়াইয়ের হাতিয়ার। এদুয়ার্দো গালিয়ানোর সকার ইন সান অ্যান্ড শ্যাডোকে ক্রীড়াসাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে গণ্য করা হয়। যার পাতায় পাতায় উঠে এসেছে ফুটবল নিয়ে লেখকের আবেগ। সেই সঙ্গে খেলাটির ইতিহাস, নানা কলাকৌশল এবং মাঠ ও মাঠের বাইরের জানা-অজানা সব গল্প। পেলে, ক্রুইফ, ইউসেবিও, গুলিত, বাজিও, বেকেনবাওয়ার ... ফুটবলের এসব কিংবদন্তি নায়ককে নিয়ে চমকপ্রদ ও অজানা গল্প পাঠক পাবেন এই বইয়ে। জানবেন খেলার মাঠেই কেন একজন ফুটবলার আত্মহত্যা করেছিলেন? কিংবা কত অদ্ভুত সব সংস্কার কাজ করে জেতার অদম্য বাসনায় আক্রান্ত ফুটবল দলগুলোর মধ্যে! ফুটবল নামের এক হৃদয়বিদারক উন্মাদনার উপভোগ্য পাঠ এই বইটি বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়েছে।