যে আলো প্রতিদিন প্রদক্ষিণ করে বাংলাদেশ,তার ছায়ায় ছায়ায় হাঁটেন একজন বঙ্গবন্ধু। তাঁর স্বপ্ন ছিল ‘সোনার বাংলা’। যা এর আগে অনেক নেতাই পারেননি,দেখিয়ে দিয়েছিলেন একজন শেখ মুজিবুর রহমান-মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়ে। তাঁর শাসনকাল ছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর। তিনি অনেক কিছুই সমাপ্ত করতে পারেননি! পনেরোই আগস্টের চরম নির্মমতার পর অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে দাঁড়াতে হয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। দলের হাল ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজকের বাংলাদেশ এগোচ্ছে জাতির পিতার জ্যোতিরেখায়। তাঁর দেখিয়ে যাওয়া আলোর পথেই হাঁটছেন আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলোতে সেই তথ্য,তত্ত্ব ও উপাত্তের সন্নিবেশ ঘটেছে। যা জানলে,নতুন প্রজন্ম অনুধাবন করতে পারবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাওয়া একটি রাষ্ট্রের চাওয়া-পাওয়ার স্বচ্ছচিত্র।
আমি মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। দেখেছি আমার বাড়ির পার্শ্ব দিয়েই কীভাবে পাক-হায়েনারা ধরে নিয়ে গেছে আমার পিতার বন্ধু বসন্ত কুমার দেবকে। তিনি ছিলেন চিরকুমার। ছিলেন সরকারি চাকুরে। সবাই পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। তিনি পারেননি। যাওয়ার সময় হাউ মাউ করে কাঁদছিলেন। বলছিলেন, 'আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছো কেন? আমার কী অপরাধ?'ওরা কিছুই শোনেনি।তার কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে। বুকে লাগে। আমি দেখেছি, কীভাবে এই দেশের কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মজুর, তাঁতী, কামার, কুমার, বেদে, মাঝি-সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ নিয়েছিলেন মহান মুক্তিসংগ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে আমি সেই অহংকার বহন করে চলি। এই গ্রন্থটিকে আমি উপন্যাস নয়, দিবন্যাস বলতে চেয়েছি।যা আমার দিব্যদৃষ্টি দিয়ে দেখা ও লেখা। একজন মুক্তিযোদ্ধা আরশ আলী। তিনি বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ। একজন দিব্যাঙ্গনা সুপ্রিয়া দেবী।তার প্রেম, চাওয়া-পাওয়া শাণিত করেছে আমার ভাবনার পটভূমি। তরুণ প্রজন্মের রাহাত আলী হয়ে উঠেছি এই উত্তর- প্রজন্মের শক্তি ও সাহসের প্রতীক। একটি প্রকৃত জীবনপ্রবাহে আবর্তিত হয়েছে ঘটনা পরিক্রমা, দেশে-বিদেশে। -লেখক