গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা শেষ হতে না হতেই বোস্টন শহরে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব হত্যাকাণ্ড-অভিনব আর বীভৎসভাবে হত্যা করা হয় শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে। ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে সবগুলো হত্যাকাণ্ডই মহাকবি দান্তের ইনফার্নো’র অনুপ্রেরণায় করা হয়েছে। মারাত্মক এক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় দান্তের সাহিত্যকর্ম। এ দিকে হারভার্ড কেন্দ্রিক দান্তে ক্লাবের কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি এবং বিখ্যাত কবি লংফেলো এই রহস্যের জট খুলতে নেমে পড়েন এক অভিযানেÑকে খুন করছে, আর কেনই বা করছে, সেই প্রশ্নের জবাব পাবার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন তারা।
পূর্ব নির্ধারিত সত্য বিশেষ কোনো কারণে আড়ালে চলে গেলেও একদিন নিজস্ব আলোকচ্ছটায় প্রকাশিত হবেই। অতীতকে নিয়ে আম্মিরার আত্মবিস্মরণ হলেও সেই বিশেষ সত্তাগুলো এখন যেন তার নিশ্বাসের সঙ্গে মিশে আছে। ক্ষণে ক্ষণে আম্মিরা তাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারে। বিশেষ করে হাতের শিরাগুচ্ছ সবুজবর্ণ ধারণ করলে। কেন এমন হয় তা সে জানে না। মাঝেমধ্যে মেয়েটির স্মরণে আসে যে জীবনটা সে উপভোগ করছে সেটা তার নিজস্ব নয়। আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতোন সে জীবনযাপন করলেও, রাস্তার পাশে অবস্থিত বাদামি কাঠের বাড়ির সামনে দাঁড়ানো সেই শোভন ছেলেটির নীল চোখ দুটো সময়ে সময়ে তাকে বড় উদাসীন করে তুলে। সবটা হারিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে ফিরে পাওয়ার গাথা কেমন হবে? নাকি ফিরে পাওয়া মানেই হচ্ছে হারিয়ে ফেলা?
এই গল্পে কোন একশন নেই,নেই কোন রোম্যান্স যা রয়েছে তা শুধু খেলা করে যাবে আপনার মন,মস্তিস্ক আর হৃৎপিণ্ডের সাথে। রহস্যময় গল্পের জালে,বইয়ের প্রতিটি পাতা যেন তীব্র রক্ত সঞ্চালন তৈরী করবে আপনার হৃৎপিণ্ডে আর সে আবেগ কখনো ঝরে পড়বে চোখের জল,মনের শূন্যতা কিংবা প্রতিশোধের হাহাকারে। শহরের এক অভিজাত এলাকায় একটি খুন, সেই খুনের দায়ে গ্রেপ্তার তার আপনজন। তদন্তের দায়িত্ব এসে পরে সিআইডির ইনভেস্টিগেটর আবিদ চৌধুরীর হাতে। তার কাছে এটা কোন স্বাভাবিক কেস নয়। অনুসন্ধান করতে করতে আবিদ চলে যায় আরও গভীরে,যার শুরুতে যেন এক কুৎসিত সত্য লুকিয়ে রয়েছে। এদিকে আবিদ এর ব্যক্তিগত জীবনের ছকটাও স্বাভাবিক নয়,অন্য কেউ যেন নির্মমভাবে পালটে দিয়েছে মাত্র আট মাস আগে। গল্প এগুতে থাকে, আর সব কিছু যেন ঘুড়ির সুতোর সাথে মিলিয়ে যেতে থাকে যার নাটাই একজন লোকের হাতে। তবে সে যেন মানুষ নয়,মানুষ রূপি পিশাচ। এতটা সহজে তাকে ধরা সম্ভব নয়।তাহলে কিভাবে শেষ হবে এই পিশাচের গল্প? জন্ম নেয় এক নতুন পিশাচ। গল্পে একটা লাইন রয়েছে - "এক পিশাচের ধ্বংসের জন্য নতুন পিশাচের জন্ম হয়" কে সেই নতুন পিশাচ? জানতে হলে গল্পের শেষ অবধি রুদ্ধশ্বাসে পড়তে হবে বইটি।
ফারিহার গাড়িতে ছোটাচ্চুকে ওঠানো হয়েছে। তবে আজকে ছোটাচ্চু বসেছে পেছনের সিটে। তার চোখ একটা গামছা দিয়ে শক্ত করে বাঁধা, যেন সে কোনোভাবেই দেখতে পারে। তার এক পাশে টুনি অন্য পাশে শান্ত, তারা শক্ত করে ছোটাচ্চুর হাত ধরে রেখেছে যেন ছোটাচ্চু হাত দিয়ে তার চোখের বাঁধন খুলে ফেলতে না পারে। গাড়ির সামনের সিটে ফারিহাপুর পাশে বসেছে ঝুমু থালা। ঝুমু খালা অনেক আপত্তি করেছে কিন্তু কেউ শুনে নাই। সবাই মিলে তাকে আবার মার্দানা ম্যাডামের মতো সাজিয়ে দিয়েছে, তার কপালে টিপ আর ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিক।
ভয়ের জগতে স্বাগতম! আরজে রাসেলের উপস্থাপনায় দেশের জনপ্রিয় হরর শো ভ‚ত ডট কম-এর সেরা ঘটনাগুলো স্থান পেয়েছে এই বইটিতে। খুব সাধারণ মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া অসাধারণ সব রক্ত-হিম করা সত্য ঘটনাগুলোকে সাহিত্যের মলাটে সংরক্ষিত করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা এটি। এখানে প্রতিটি অক্ষর ভয়ের। প্রতিটি ঘটনা এক-একটি কালো জোনাকি। এই জোনাকি আলোর ফুল ফোটায় না, বরং ভয়ের হুল ফুটায়। তারপর ছায়াসঙ্গীর মতো ঘুরে বেড়ায় পাঠকের সাথে। তৈরি করে অসম্ভব এক মায়জাল। পৃথিবীর অন্তরালে সৃষ্টি করে আরেক পৃথিবী। সেই পৃথিবীতে আপনি একা, সঙ্গী তেরোটি জোনাকি।
সতেরো বছরের প্রিসিলা নিউইয়র্কে নাচ, গান, অভিনয় ও মডেলিং এ প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে সবকিছু বাদ দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন সমাজ সেবায়। ফেইসবুক ও ইউটিউবে নিয়মিত বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়ে শিক্ষামূলক লাইভ প্রোগ্রাম করেন প্রতি রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটার পর। প্রিসিলার লাইভ প্রোগ্রামে এ পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে প্রিসিলা নিজ অর্থে নিয়মিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। খাবার, চিকিৎসা, শীতের কাপড়, টিউবঅয়েল, সেলাই মেশিন, হুইল চেয়ার, আর্থিক সাহায্য, শিক্ষা সামগ্রী, শিশুদের খেলনা ইত্যাদি প্রিসিলার নিজস্ব টিমের মাধ্যমে নিয়মিত দেশের বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করছেন প্রিসিলা। ফেইসবুক ও ইউটিউব মিলে প্রিসিলার ফলোয়ার প্রায় পঞ্চাশ লক্ষের বেশি যাদের বড় একটা অংশ কলেজ এবং ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রী। প্রিসিলার বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য থাকে তরুণদের উৎসাহ দেয়া, অনিয়মের বিরুদ্ধে, দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। চলতি বছরের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন প্রিসিলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। প্রিসিলার পছন্দ ব্রডকাস্টিং জার্নালিজম নিয়ে পড়াশুনা করা এবং পরে সম্ভব হলে আইন বিষয়ে পড়তে চান। একজন ভাল উপস্থাপক হয়ে সমাজের অনিয়মগুলো উপস্থাপনের পাশাপাশি নিজেকে সামাজিক কাজে ব্যাস্ত রাখতে চান। যতদিন বেঁচে থাকবেন, থাকতে চান অসহায় মানুষের পাশে। আমেরিকায় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ পেলেও এখনও সিদ্ধান্ত নেন নি। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনীতিতে জড়াতে চান না কোনদিন । কাজ করতে চান সবার সাথে ।