তিনটি ক্লাসিক উপন্যাস। এর আগে পৃথক পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, এবার বেরোল ভলিউম আকারে। জিম করবেটের ‘কুমা্য়ুনের মানুষখেকো’ শিকার নিয়ে লেকাচমৎকার কয়েকটি কাহিনি। মানুষখেকো এক বাঘিনীর উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করল এলাকার লোকজন। শেষ পর্যন্ত বাঘিনীকে হার মানতে হয়েছিল জিম করবেটের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কাছে...... ‘মাই কাজিন র্যাচেল’ ড্যাফনে দু মরিয়ের লেখাফ অন্যমত শ্রেষ্ঠ কাহিনি। এতিম ছেলে ফিলিপ মানুষ হয়েছে পিতৃসম কাজিন অ্যমব্রোসের কাছে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল অ্যামব্রোস। স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ইতালি যেতে হলো তাকে। শুরু হল নতুন এক ঘটনাপ্রবাহ....এবার ‘দি ওল্ডম্যান এণ্ড দি সী’ থেকে সামান্য অংশ পাঠকের জন্য তুলে দিচ্ছি: বুড়ো মানুষ। ডিঙিতে চেপে পালফ স্ট্রিমে মাছ ধরে বেড়ায় একাকী। আজ চুরাশি দিন একটিও মাছ পায়নি। প্রথম চল্লিশ দিন একটি ছেলে ছিল সঙ্গে। কিন্তু চল্লিশ দিন পরেও যখন কোনও মাছ উঠল না, ছেলেটির বাবা-মা বলল বুড়ো এখন নির্ঘাত সালাও, অর্থ্যাৎ চরম অপয়া হয়ে গেছে। ওদের নির্দেশে অন্য নৌকায় চলে গেছে ছেলেটা এবং পয়লা হপ্তায়ই বড় তিনটে মাছ ধরেছে ওরা। বুড়োকে রোজ শূন্য ডিঙি নিয়ে ফিরতে দেখে খারাপ হয়ে যায় ছেলেটির মন। বুড়ো এলেই ও দৌড়ে চলে যায় কাছে, মাছ ধরা দড়ি বা কেঁচোর বোঝা, হারপুন আর নয়তো মাস্তুলে গোটানো পাল বয়ে আনতে সাহায্য করে.....তিনটি কাহিনিই কালের কৃষ্টিপাথরে যাচাই হয়ে বিশ্ব সাহিত্য জায়গা করে নিয়েছে। যাঁরা ক্লাসিক কাহিনির ভক্ত তাঁদের জন বইটি অবশ্যপাঠ্য বলে বিবেচিত হবে।
টাইম বম গনগনে তপ্ত নিউ ইয়র্ক। বিখ্যাত ডিপার্টমেণ্টাল স্টোর ধসে পড়ল শক্তিশালী এক বোমার আঘাতে। জড়িয়ে পড়ল রানা। কারণ, হুমকি দিয়েছে টেরোরিস্ট, ওকে ডেকে না আনলে আরও অনেক বোমা ফাটবে শহরে। ডিটেকটিভ চিফ ক্যাপ্টেন জেরেমি জনসনের সনির্বন্ধ অনুরোধ রাখতে গিয়ে হারলেমের ক্রাইম জোনে যেতে হলো রানাকে। ডাক পিওনের মত ছুটছে ও শহরের এদিক থেকে ওদিক! এখানে-ওখানে-সেখানে ভয়ানক সব বোমা পেতে রেখেছে লোকটা! উড়িয়ে দিতে চাইছে কমিউটার ট্রেন, স্কুলের কচি শিশু ও নিরীহ জনসাধারণকে! ঠেকাতে গিয়ে অসহায়ভাবে বন্দি হলো রানা ও তার কালো বন্ধু জো মাইনার। এবার মরতে বসেছে দুজনই। বাইনারি বোমা দিয়ে ওদের সহ লোকটা উড়িয়ে দিল মস্ত জাহাজ। কালো কুয়াশা রেডিওতে শোনা গেল সাহায্যের আবেদন। অকুস্থলে জীবন্মৃত হয়ে আছে বিসিআই-এর পাঁচ এজেণ্ট। শুরুতে যা ছিল একটা এক্সপেডিশন কোর্স, তা শেষপর্যন্ত রানা-সোহেলের জন্য হয়ে দাঁড়াল বিপজ্জনক অ্যাসাইনমেণ্ট। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে দেখা মিলল ফ্যানাটিক হুসাইন আখতারের, যে প্রয়োজনে খুন করতে দ্বিধা করে না নিজের লোকদেরও। ওর পেছনে আছে সারওয়ার বিন জামালÑউত্তর আফ্রিকাকে পানিশূন্য করে সেটার রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিতে চায়। কয়েকবার মরণছোবল হানল ওরা রানা-সোহেলের উপর, বিফল হয়ে শেষে ফাঁদ পাতল মাটির নিচের এক শবপ্রকোষ্ঠে।
রানার কমান্ডো ট্রেইনার দুর্ধর্ষ রিটায়ার্ড যোদ্ধা বেন হ্যানন হারিয়ে গেছেন স্কটল্যান্ডে। সাহায্য চাইল তাঁর ক্রন্দনরতা স্ত্রী, মিরাণ্ডা। রানা কি জানে, ওই দেশে গেলেই জড়িয়ে যাবে একদল বাজে লোকের জটিল প্যাঁচে? সোনার মোহরের জন্য সেখানে চলছে তুমুল লোভের ঝড়! সেই প্রবল হাওয়ায় যখন-তখন দপ্ করে নিভে যাচ্ছে মানুষের জীবন-প্রদীপ। রানা অবশ্য শপথ নিয়েছে, যেভাবে হোক খুঁজে বের করবে ওর স্নেহশীল ওস্তাদকে। পাশে এসে দাঁড়াল সৎ পুলিশ অফিসার জেসিকা। কিন্তু প্রতিপক্ষের চোখে পড়ে গেছে ওরা। লেলিয়ে দেয়া হয়েছে একদল হিংস্র হায়েনা। যেখানে নিজেই বাঁচে কি না সন্দেহ, সেখানে রানা কী করে উদ্ধার করবে আর কাউকে? চলুন, পাঠক, কী ঘটছে দেখি গিয়ে!