মর্নিং স্টার রানী নেতের-তুয়া প্রাচীন মিশরীয় দেবরাজ আমেন-এর কন্যা। ছেলেবেলার খেলার সাথী রামেসকে ভালোবাসি বড় হলো, বাবা ফারাওয়ের ইচ্ছায় হলো রানী। রামেসের দেহে রাজরক্ত থাকলেও তুয়া আর রামেসের মিলনের পথে বাধা দুস্তর মরুভূমি সম কিন্তু কোন বাধা মানতে রাজি নয় আমেনের ভােরের তারা নেতের-তুয়া । এদিকে নাফিসের কুমার আবি বিয়ে করতে চায় তুয়াকে। থিবি থেকে বাবা ফারাওয়ের সাথে মেম্ফিস বেড়াতে এসেছিল তুয়া, ঘৃণ্য কৌশলে তাদের বন্দি করল আবি। ফারাওকে হত্যা করল জ্যোতিষী কাকুর জাদুর সহায়তায়, নেতের-তুয়া আর তার দাই মা আসতিকে করল না খাইয়ে মারার ব্যবস্থা। স্নেহধন্য কন্যাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন দেবরাজ আমেন। চাইল্ড অভ স্টর্ম এ কাহিনি আপনাদের চেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তরুণ বয়সের। প্রথমে মনে হবে শিকার কাহিনি, আফ্রিকার দুর্গম বনে অভিযানের কাহিনি, অথবা হাসির উপন্যাস। কিন্তু আরও কয়েক পাতা এগোলে পাঠক বুঝবেন প্রেম, বিরহ, চাতুরি, বিশ্বাসঘাতকতা, যুদ্ধ, স্নেহ, ভালবাসা আর আশাভঙ্গের এক অপূর্ব উপাখ্যান লিখে গেছেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড।
স্যাবটাজ ১৯৪৩ সাল। আফ্রিকা-বিজয়ের পর সিসিলি হয়ে আসতে চাইছে মিত্রবাহিনী ইউরোপের অধিকৃত মেইনল্যাণ্ডে। কিন্তু তার আগে ক্যারিডি নামের বিশাল এক জার্মান ট্রেন ফেরি ডুবাতে না পারলে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে সমস্ত আক্রমণ। বার কয়েক ব্যর্থ চেষ্টার পর স্যাবটাজ-টিমের নেতৃত্বের ভার পড়ল মেজর রাহাতের ওপর। রওনা হলো সে অসাধ্য সাধনে, যেমন করে হোক ডুবিয়ে দেবে ক্যারিডি। বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-চিফের যুবক বয়সের এক রোমহর্ষক কাহিনি। দাগী আসামী দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলছে।আজকের মেজর জেনারেল (অব.) রাহাত খান তখন এক তরুণ মেজর। হঠাৎ এক দায়িত্ব চাপল কাঁধে-কোর্টমার্শালে সাজা পাওয়া বারোজন কয়েদিকে দক্ষ করে তুলতে হবে স্যাবটাজে। সুইসাইড স্কোয়াড হিসেবে নাৎসি লাইনের পেছনে কাজ করবে এরা। নেতৃত্বে থাকতে হবে তাকে। ভয়ঙ্কর সব লোকজন; খুনে, বদমাশ। পারবে রাহাত ওদের বাগে আনতে?