রেবেকা খুবই সাধারন পরিবারের সাদাসিদা মেয়ে। একটি চাকুরি করে, অবিবাহিতা। হঠাৎ করেই আমেরিকায় তিন মাসের একটি শর্ট কোর্সের সুযোগ পেয়ে যায়। ট্রেনিং এর জন্য আমেরিকায় যাবার দিন সাতেক আগে হঠাৎ করেই তার বিয়ে হয়ে যায়। তার স্বামীটিও খুবই সাদাসিদে। আমেরিকায় পা দিয়েই বিপদে পরে রেবেকা। তাকে কেউ রিসিভ করতে আসেনি এ্যায়ারপোর্টে, সেই সাথে সে তার লাগেজও হারিয়ে ফেলেছে। এ্যারপোর্ট থেকে বাংলাদেশী নাগরিক পাশা চৌধুরীকে ফোন দিয়ে রেবেকার কথা বলা হলে সম্পূর্ণ অপরিচিত মহিলাকে সাহায্য করতে পাশা গভীর শীতের রাতে ছুটে যায়। পাশা রেকেবাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়, সকালে রেবেকাকে তার ইউনির্ভাসিটিতে পৌঁছেদেয়। রেবেকা আর পাশার মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। এদিকে ট্রেনিং এ রেবকা খুব ভালো রেজাল্ট করতে শুরু করে। প্রফেসাররা রেবেকাকে খুব পছন্দ করে। তারাই রেবেকাকে প্রস্তাব করে পিএইচডি করে যেতে, রেবেকাকে ফ্রীতে পড়ার সুযোগ করে দেয়। অন্যদিকে পাশার খুব খারাপ অবস্থা। সে ইলিগেলি আছে আমেরিকাতে। তার কোন চাকরি নেই। সে মূলত কম্পিউটারে খেলার জন্য গেইম তৈরি করে কোম্পানীগুলির কাছে বিক্রি করে। অনেকদিন কোন গেইম বিক্রি হয়নি বলে তার কাছে কোন টাকা নাই বললেই চলে। তাই পাশা ঠিক করে। দেশের সাবার কাছ থেকে সে ডুব দিবে, কারণ দেশে বড় ভাইয়ের সংসারে টাকা পাঠানো আর তার পক্ষে সম্ভব নয়। পাশা তার সাথে যোগাযোগের সব ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে বেরিয়ে পরে পথে। রেবেকা তার পিএইচডি কথা জানালে পরিবারের সবাই বিরধীতা করে। তিন মাসের জন্য গিয়ে ৫/৬ বছরের জন্য থেকে যাওয়াটা কেউই পছন্দ করছে না। শুধু তার স্বামী তাকে তার এই সুযোগ ব্যবহারের জন্য অনুমোতি দেয়।