লটারি-রহস্য তিন গোয়েন্দার, বন্ধু ম্যাক্স ও কোনর। বড়দিনে দাদুর কাছ থেকে একটা লটারি টিকিট উপহার পেল ও। সৌভাগ্যক্রমে, লটারিতে সাত মিলিয়ন ডলার পুরস্কার জিতল ছেলেটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, চুরি গেল লটারি টিকিটটা। ফলে, বন্ধুর সাহায্যের ডাকে সাড়া দিয়ে চোরের খোঁজে মাঠে নামতে হলো তিন গোয়েন্দাকে। ইউনিকর্নের খোঁজে জাদুকর মার্লিন কিশোর আর জিনাকে নিউ ইয়র্কে পাঠিয়েছে মিশন দিয়ে। একটা ইউনিকর্নকে উদ্ধার করতে হবে। প্রবল তুষারঝড়ের মধ্যে কাজে নামল ওরা। জানে না, কালো জাদুকর ইউনিকর্ন টার দখল পেতে তার দল পাঠিয়েছে। এক পর্যায়ে মুখোমুখি হলো দুপক্ষের। জলদস্যুর নকশা সাগরসৈকতে প্রাচীন এক বোতল খুঁজে পেল ডন। বোতলটার ভিতরে এক টুকরো কাগজ। জানা গেল ওটা কুখ্যাত এক জলদস্যুর গুপ্তধনের নকশার চারটি টুকরোর একটি। টুকরো চারটি জোড়া দিলেই মিলবে বিপুল গুপ্তধনের হদিস। নকশার টুকরোটা হাতাতে লোক লেগে গেল তিন গোয়েন্দা আর ডনের পিছনে। ফলাফল: নতুন রহস্য।
আমি ভূত কিশোর ভূত বিশ্বাস করে না । কিন্তু মুসা আর রবিন বলছে কিশোরদের নতুন বাড়িটা ভুতুড়ে। দুটো পরিবার স্রেফ উধাও হয়ে গিয়েছিল ও বাড়ি থেকে। ডন বলছে ও নাকি ঘরের ভিতরে ভূত দেখেছে। কিশোর উড়িয়ে দিল ওর কথা । কিন্তু আসলে কী ঘটছে বাড়িটাতে? মহাকাশের ভয়ঙ্কর ঘটনার শুরু দুর্ঘটনা দিয়ে । মহাকাশে দুটি স্পেসশিপ পরস্পর জুড়ে গেছে। এ সময় উদয় হলো কিশোর আর হিরু চাচা। শিপ দুটোকে আলাদা করার দায়িত্ব নিল তারা। আবিষ্কার করল, যাত্রীদের মধ্যে কেউ ড্রাগ চোরাচালানে জড়িত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, কিশোর আর হিরু চাচাকেই চোরাচালানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হলো। দেয়া হলো দেখামাত্র গুলির নির্দেশ। এদিকে তাণ্ডব শুরু করেছে হিংস্র জন্তু ম্যানড্রেলের দল, খুন করছে মানুষ। কতদিক সামলাবে চাচা-ভাতিজা? রহস্যভেদী কানাডা পৌছেই তিন গোয়েন্দা জানল, ওদের জন্য রয়েছে মহাজটিল দু-দুটি কেস: জাদুঘর থেকে কোথায় গেল শত বছরের পুরনো সোনা ও লেখক জ্যাক লণ্ডনের ব্যাগ?…নামকরা শ্লেডের প্রতিযোগিতায় মাশারদের স্যাবোটাজ করছে কে বা কারা? তদন্তে নামল কিশোর-মুসা-রবিন, জানত না মস্ত বিপদে পড়বে!
জাদুকরের ভেল্কি প্যালেস থিয়েটারে নামকরা জাদুকরের প্রতিযোগিতা , সেখানে ঘটছে নানান ধরনের অঘটন । কে ঘটাচ্ছে সেসব ? কেন ঘটাচ্ছে ? কীভাবে ঘটাচ্ছে ? প্রতিযোগিতা শেষে কে হবে আমেরিকার সেরা জাদুকর ?… ওদিকে আবার নস্টালজিয়া ল্যান্ড অপেরা হাউসে শুরু হলো জ্বলজ্বলে সবুজ ভূতের বিদ্ঘুটে উপদ্রব । তদন্ত করার এমন সুবর্ণ সুযোগ পেলে কি আর ছাড়ে তিন গোয়েন্দা ? মিশর-রহস্য ; মিশরীয় পিরামিডের অভ্যন্তরে বন্দি খুনী লোর্কার মুক্তির ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে । আঁতকে উঠলেন প্রফেসর জোসেফ মিলার । তার ভাইয়ের সঙ্গে ভয়ংকর মমিগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন ? রুখে দাড়াল কিশোর আর হিরু চাচা । হিম মৃত্যুর ফাঁদে ভারমেন্টে বন্ধু রনির বাসায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা আর ডন । রাতের বেলা বরফের উপর গরম কাপড় ছাড়া স্কেটিং করে কে ? কারা হাতছানি দিয়ে ডাকে ওদেরকে ? ডনকে কে টেনে নিয়ে যেতে চায় বনভূমির ভিতরে ? রহস্যর পর রহস্য । অনিবার্যভাবেই তাতে জড়িয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা ।
আমিই মুসা হ্যালোইন। হররল্যাণ্ডে মুসাকে বাধ্য করা হলো অদ্ভুত এক খেলায় অংশ নিতে। ওকে প্রমান করতে হবে ও-ই যে আসল মুসা! নাইলে বাসায় ফিরতে পারবেনা। খেলতে নেমে মুসা হাড়ে-হাড়ে টের পেল, কাজটা কত কঠিন! হাত বাড়ালেই বন্ধু ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর,মুসা আর রবিন এবার ১৮৭০- এর দশকের প্রেইরিতে। ওখানে এক কামরার এক স্কুল দেখল ওরা, পরিচিত হলো অল্পবয়সী শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। কিন্তু ওরা কি জানত কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? হত্যাপুরী বাড়িটার নাম- “হত্যাপুরী”। বিলসভিলের ওই বাড়িটিতে আঙ্কেল-আণ্টির কাছে বেড়াতে গেছে রবিন। এক বৃদ্ধা মহিলা খুন হন ওখানে। খুনি ধরা পড়েনি। বিনোদন পার্কের টাকা ভর্তি ব্রিফকেসটা গেল কোথায়? কে চুরি করেছে ওটা? রাতের আঁধারে, পরিত্যাক্ত, ভয়ানক বিপজ্জনক পার্কটি ভেতর জমে উঠল রোমাঞ্চ-নাটক।
নিঝুম রাতের আতঙ্ক ডনকে নিয়ে পুরানো বিনোদন পার্কে গেল কিশোর । ওখানে দেখা দিল শ্বেতবসনা রহস্যময় এক কিশোরী। বহু বছর আগেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছিল সে। কে এই মেয়ে? ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব কাণ্ড-কারখানা। খলিফার দরবারে বিশ্বের আর জিনা জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে এবার ১২০০ বছর আগের বাগদাদে। শহরটার তখন স্বর্ণযুগ। ওদের কাছে গচ্ছিত আছে রহস্যময় এক বাক্স। কী আছে ওটার ভিতরে? জিনিসটা খলিফার এত প্রয়োজন কেন? অতল আতঙ্ক দুশো বছর আগে ডুবে গিয়েছিল জলদস্যুদের জাহাজ । ওটার খোঁজে সাবমেরিনে চড়ে সাগরে ডুব দিল কিশোর, ডন আর হিরু চাচা। দুর্ঘটনাক্রমে উদয় হলো জলদস্যুদের কঙ্কাল। পালিয়ে নির্জন এক দ্বীপে গিয়ে আটকা পড়ল ওরা। তারপর?