আমি যুদ্ধে চলে যাচ্ছি। তোমাদের বললে তোমরা কিছুতেই রাজি হতে না। তাই না বলেই গেলাম। ২৫ মার্চ রাতে আমি নিজের চোখে মারা যেতে দেখেছি বাবুর আব্বাকে। দেখেছি, জগন্নাথ হলের মাঠে কীভাবে ছাত্রদের লাশ পড়ে ছিল। কীভাবে বস্তিতে আগুন দিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এরপর আর ঘরে থাকার কোনো মানে হয় না। তোমরা শান্ত থাকবে। এই চিঠি পুড়িয়ে ফেলবে। আমার জন্য দোয়া করবে। তমাল ও বন্যাকে আদর জানাবে। তোমাদের জন্য আমি দোয়া করব। যদি বাঁচি, ইনশা আল্লাহ দেশ স্বাধীন করেই ফিরব। তখন যদি বেঁচে থাকি, তাহলে দেখা হবে।