একদিন সকালে আমজাদ আলী নামের সাধারণ এক দোকানের ম্যানেজার আবিষ্কার করে তার হাতের লেখা, টিপসই, এমনকি রক্তের গ্রুপ পর্যন্ত পাল্টে গেছে। হাওরের জেলে হাসন মিয়ার জালে উঠে আসতে থাকে বিরল প্রজাতির সব মাছ। ওদিকে বাংলাদেশের প্রাণিবিজ্ঞানী নিকিতা গবেষণার কাজে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে ভয়ানক বিপদে পড়ে। ভয়ংকর অগ্ন্যুত্পাতের কবল থেকে কিনাবালু পর্বতের আদিবাসীদের সুরক্ষা দেয় প্রকৃতি। এসব রহস্য ও তার শিহরণ জাগানো ব্যাখ্যা নিয়ে বিজ্ঞান কল্পগল্পের এ বই।
মৌলভিবাজারের কমলগঞ্জ থেকে আসা মণিপুরি তরুণী অনিমা সিংহ। ঢাকা শহরে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এসে সাথি হিসেবে পায় আরেক উন্মূল তরুণী শীলাকে। এই আলোকিত জনমুখর চকচকে শহরে দুটি মেয়ের টিকে থাকার নিত্যদিনের সংগ্রামে নাটকীয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে অনেকেই। এদের মধ্যে আছে পড়তি নায়িকা মোহিনী চৌধুরী, থিয়েটারকর্মী চিশতী আর সেলিব্রিটি অভিনেতা আনিস জুবের। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পেছনে এক এঁদো গলি থেকে বেরিয়ে ক্রমে এক রঙিন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটতে থাকে তাদের। কিন্তু সেই দুনিয়া কি সত্যি রঙিন? সেই একই কমলগঞ্জের আরেক মণিপুরি তরুণী তারাল্লেই শৈশব থেকে মনের মাঝে ঠাঁই দিয়েছে এলাকার বীরপুরুষ গিরীন্দ্রকে। বড় হয়ে স্বপ্নের মানুষটিকে যখন নিজের করে পেল, তখন সে-ও কি আসলে সুখী হতে পেরেছিল? গল্পকার ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনির লেখক হিসেবে সমধিক পরিচিত তানজিনা হোসেন তাঁর এই প্রথম উপন্যাসে এসব প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন। লেখকের মায়াবী গদ্যের সঙ্গে মণিপুরি সংস্কৃতির অনাস্বাদিত জগতেও পাঠক আপনাকে স্বাগত!