সিম্বলজিস্ট রর্বাট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করে ফ্লোরেন্সে। তার কি হয়েছে, কি ঘটেছে কিছুই জানে না। স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনরে মাথায় প্রতিধ্বনিত হতে থাকে একটি কথা : খুঁজলেই পাবে। তার জামার পকেটে পাওয়া যায় অদ্ভুত আর ভীতিকর একটি জিনিস। তার কোনো ধারণাই নেই কোত্থেকে এটা এলো। তারপরই ঘটতে থাকে একরে এক পর সহিংস ঘটনা। ঘটনাচক্রে তার সাথে জড়িয়ে পড়ে অদ্ভুত এক মেয়ে। তারা দুজন জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ায়, সইে সঙ্গে রহস্যের সমাধান করতে থাকে একটু একটু করে। অবশেষে আসল সত্যটি জানতে পারলওে বড্ড দেরি হয়ে যায়। শুধু তাদের জীবনই নয়, পুরো মানবজাতি মারাত্মক এক হুমকির মুখে পড়ে গেছে। দ্য দা ভিঞ্চি কোড-এর পর পাঠকরে সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছে জনপ্রিয় চরিত্র রর্বাট ল্যাংডন। ড্যান ব্রাউনের ইনর্ফানো পাঠককে আরো একবার জড়িয়ে ফেলবে কোড, সিম্বল, ইতিহাস আর গোলকধাঁধাতুল্য ষড়যন্ত্রের জালে।
দ্য দা ভিঞ্চি কোড - জ্ঞানগর্ভ ডিটেকটিভ থ্রিলার এবং হলি গ্র্যাইল আর খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসে মেরি ম্যাডালিনের অবস্থান: দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সত্যটি জনাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন ক’রে। সত্যটি লালন ক’রে আসছে একটি গুপ্ত সংঘ-সেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো ব্যক্তি। ওদিকে উগ্র ক্যাথলিক সংগঠন ওপাস দাই সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই গুপ্তসংঘের গ্র্যান্ডমাস্টার তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে হস্তান্তর ক’রে দেয় আর ঘটনাচক্রে এরকম একটি মারাত্মক মিশনে জড়িয়ে পড়ে হারভার্ডের সিম্বোলজিস্টের এক প্রফেসর। পাঠকের মনোজগত নাড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে বইটি।
দ্য লস্ট সিম্বল - উপন্যাসের আচার-অনুষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক তথ্য, শিল্পকম এবং মনুমেন্ট বাস্তব এবং সত্য: দা ভিঞ্চি কোড-এর পরবর্তী সিকুয়েল দ্য লস্ট সিম্বল, সারা বিশ্বের সারা জাগানো লেখক ড্যান ব্রাউন, ব্রাউনীয় লেখনীতে যিনি বিশ্বের কাছে এনে দিয়েছেন তুমুল জনপ্রিয় বেস্টসেলার কিছু বই। সাধারণত বিভিন্ন গুপ্ত সংস্থার রহস্যময় ঘটনার সমাধান খুঁজতে গিয়েই গল্পের আবয় তৈরি হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই টানা দু'সপ্তাহ নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার (১ নম্বরে) এ ছিলো। বাংলা অনুবাদের দিক দিয়ে বেশ ভালো একটা অনুবাদ বই, লেখনীর ধারা অনুবাদক ঠিক মত রাখতে পেরেছেন। বইটিতে সিক্রেট সোসাইটি ফৃম্যাসন্দের হাজার হাজার বছর ধরে লুকায়িত রাখা সিক্রেটকে আবিষ্কার করা নিয়ে ঘটনা আবর্তিত হয়। বরাবরের মত মুল চরিত্র সিম্বলজিষ্ট রবার্ট ল্যাংডন, যার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে নারী চরিত্র নোয়েটিক সায়েন্স এর গবেষক ক্যাথরিন সলোমন সাথে গুপ্ত সংস্থাটির মুল তাঁর ভাই পিটার সলোমন এবং বইটির সেরা চরিত্র ভিলেন জাগারি সলোমন (মালাখ)। লেখকের ভাষ্যমতে বইয়ে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান, স্থান সব সত্য ফলে বইটির পড়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে, সাথে সাসপেন্স বা টুইস্ট এর আছে বিশাল সংগ্রহ। আসলেই কি সেই লুকায়িত তথ্য কি উদ্ধার করা গিয়েছে? ভ্রাতৃসংঘটি কি আসলেই এখনো টিকে আছে? নোয়েটিক সায়েন্স কি আসলেই আমাদের কে আত্মার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে? জানতে হলে এখনই পড়তে হবে বইটি।
‘বিজ্ঞানের চেহারা চিরদিনের জন্যে পাল্টে দেবে’--এমন এক যুগান্তকারি ঘোষণার সাক্ষি হতে সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন স্পেনের বিলবাওয়ের অত্যাধুনিক গুগেনহাইম জাদুঘরে উপস্থিত হয়েছে। আর এই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারই এক পুরনো ছাত্র, একচল্লিশ বছর বয়সি ধনকুবের, ফিউচারিস্ট এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব এডমন্ড কিয়ার্শ। তার আবিষ্কার এবং কিছু বক্তব্য আগেও আলোড়ন তুলেছে গোটা দুনিয়া জুড়ে । এমন কিছু উন্মোচন করতে যাচ্ছে সে যা কিনা উত্তর দেবে মানব অস্তিত্ববাদের দুটো প্রধান প্রশ্নের। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই ল্যাংডন বুঝতে পারে ভীষণ বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে এডমন্ডের আবিষ্কার। এসময় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আবিষ্কারের কথাটা মুখেই থেকে যায় কিয়ার্শের। জাদুঘরের পরিচালক অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা একটি গোপন, সংরক্ষিত পাসওয়াডের্র খোঁজে, যেটা কিনা তাদের সাহায্য করবে কিয়ার্শের আবিষ্কার উন্মোচনে। ধর্মিয় ইতিহাসের পথে ল্যাংডন এবং ভিদালের এই অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ, স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত যার ক্ষমতা বিস্তৃত। এডমন্ড কিয়ার্শের আবিষ্কারকে কোনভাবেই প্রকাশ হতে দেবে না তারা। আধুনিক চিত্রকলা এবং কিছু গুপ্ত সংকেতের সহায়তায় ল্যাংডন কি পারবে এই আবিষ্কার উন্মোচন করতে? চরম সত্যের মুখোমুখি হতে? পাঠক, প্রফেসর ল্যাংডনের সাথে ইতিহাসের গলি-ঘুপচিতে ছুটে বেড়াতে আপনি কি প্রস্তুত আছেন?