ওজের জাদুকর ক্যানসাসের দিগন্তজোড়া রুক্ষ তৃণপ্রান্তরের বুকে বাস করে ছোট্ট মেয়ে ডরোথি। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় একদিন তাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল দূরে, বহুদূরে–ধূসর বাস্তব থেকে কল্পনার বহুবর্ণ বিচিত্র জগতে। বাড়ি ফেরার কোন উপায় তার জানা নেই। সাহায্য করতে পারে শুধু একজন–মহাশক্তিমান ভয়াল ওজ। হলদে ইটের রাস্তা ধরে শত বাধা-বিঘœ পেরিয়ে যেতে হবে তারই কাছে। শুরু হলো তার আশ্চর্য অভিযান। হোয়াইট ফ্যাং হোয়াইট ফ্যাং। সুমেরুর এক অদ্ভুত কুকুর। না কুকুর, না নেকড়ে। কারণ, মা তার কুকুর হলেও বাপ ছিল জাত নেকড়ে। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত মিশ্র-স্বভাব তাকে করে তুলেছে বদমেজাজী, নিঃসঙ্গ, হিংস্র। কিন্তু ভয়াবহ এই হিংস্রতার মাঝেও যে মানুষটিকে ভাল লেগে যায় তার জন্যে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠা নেই। আ কানেক্টিকাট ইয়াংকী ইন কিং আর্থারস কোর্ট ঊনবিংশ শতাব্দীতে মাথায় শাবলের বাড়ি খেয়ে হ্যাঙ্ক মর্গানের জ্ঞান ফিরল রাজা আর্থারের ইংল্যান্ডে। কানেক্টিকাট ইয়াংকী, অর্থাৎ হ্যাঙ্ক মর্গান, তার সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার করে রাজার প্রধানমন্ত্রী বনে গেল, বুদ্ধির খেলায় হার মানাল ঝানু জাদুকর মার্লিনকে, এবং শেষ পর্যন্ত জয় করে নিল রাজ্য? কিন্তু কানেক্টিকাটে আর কোনদিন ফেরা হবে কি তার?
সী উলফ জ্যাক লণ্ডন/নিয়াজ মোরশেদ ফেরিডুবির পর বরফের মত ঠাণ্ডা পানিতে ভাসতে লাগল লেখক-সমালোচক নিরীহ হামফ্রে। তিমি শিকারী জাহাজ গোস্টে আশ্রয় পাবার পর কেবিন-বয় হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হলো সে। তারপর সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা! কালো তীর রবার্ট লুই স্টিভেনসন/নিয়াজ মোরশেদ নাবালক ডিক শেলটনের পিতাকে হত্যা করে অভিভাবক হয়ে বসল পাদ্রী অলিভার। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠল দুঃসাহসী তরুণ ডিক। প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস জেন অস্টেন/কাজী শাহনূর হোসেন মিসেস বেনেটের পাঁচ মেয়ে। ভাল ঘর ভাল বর দেখে মেয়েদের বিয়ে দেয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। মিসেস বেনেটের মনের আশা কি পুরল শেষ পর্যন্ত? সূক্ষ্ম রসিকতা, অহংবোধ, ভুল ধারণা এবং প্রেম এই জগদ্বিখ্যাত উপন্যাসটির উপজীব্য।