রাঙ্গামাটির তবলছড়িতে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুমো। দারুণ ভাব মামার সাথে। ছোটবেলা থেকেই মামা তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। একটু বড় হবার পরে মামা হঠাত সন্ন্যাসজীবন বেছে নিলেন। ধ্যান করা দেখে দেখে জুমোরও শখ হত মামার সাথে ধ্যানে বসতে। ভালই চলছিলো সব। এমন সময় একদিন হঠাতই সড়ক দূর্ঘটনায় মামা নিহত হলেন। আর সেই সময়েই জুমো আবিষ্কার করল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। তাহলে কি মামার সাথে করা সেই ধ্যান কাজে লেগেছিলো? আর হঠাত উদয় হওয়া 'সুলো' নামের এই লোকটাই বা কী বলছে? তিন খণ্ডে সমাপ্য মৌলিক এক গল্পে দারুণ করে বলা সব্যসাচী চাকমার কমিক্স 'জুম' এর প্রথম পর্ব।
জুমো- রাঙ্গামাটির স্থানীয় অতি সাধারণ ছেলে, ছোটবেলা থেকেই মামার সাথে সাথে ঘুরে বেড়ায়। মামা তার ভাগ্নের সাথে খেলাধুলার পাশাপাশি দীক্ষা দেয় কিভাবে ধ্যানমগ্ন থেকে প্রকৃতির কাছ থেকে শিখতে হয়। অনেক চেষ্টা করেও অস্তিরমতি জুম সেটা পারে না। এভাবেই সময় কাটার মাঝে হঠাতই একদিন খবর আসে মামা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত! এবং সেদিনই জুমো আকস্মিকভাবে টের পায় সেই ধ্যানের ফলাফল। সে চাইলেই যে কোন গাছের মত রুপ ধারন করতে পারে, আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে অরণ্যের শক্তিকে। এই শক্তি নিয়ে কি করবে বুঝে ওঠার আগেই তার ওপর এল অতর্কিত হামলা। কেন এই হামলা আর কিভাবেই তার মামা আসল মারা গিয়েছিলো এই নিয়ে রহস্য দানা বাঁধলো। জুম ২ এ এবারে সেই রহস্যের কিনারার সূত্রপাত।
রাঙ্গামাটির ছেলে জুমো চাকমা, সময়ের সাথে সাথে নিজের ভেতরে এক আলৌকিক প্রাকৃতিক শক্তি টের পায় সে। টের পায় যে কোন গাছের সাথে আত্মিক ভাবে মিশে যেতে পারে সে, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, ধরতে পারে তাদের রূপ। ক্ষমতা টের পেয়ে তা নিয়ে কী করবে ভেবে বের করার আগেই অদ্ভূত কিছু লোকের পাল্লায় পড়ে যায় সে। কেন কিছু মানুষ তার পিছু নিয়েছে তা বুঝতে পারে না। কে এই সুলো, আর বিনাশই বা কে তাকে মারতে চাইছে?