‘জাদুঘর’ নামে এক নতুন জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে গেছিল চার বছর আগে। ঠেকানো যায়নি তার বিস্তার, প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। কাজেই ডাক পড়লো মূর্তজার। কাঁটা দিয়েই তো কাঁটা তুলতে হয়। ভয়ঙ্কর এক খুনিকে জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতার পেছনে লেলিয়ে দিলো সে। গণভবন পর্যন্ত গড়ালো জল। ওদিকে দিনদিন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ধর্মপ্রচারক নিশান মাহমুদ। বাংলাদেশের রাজনীতির পটপরিবর্তনের জন্য মোক্ষম এক পরিবেশ, এর মধ্যে চলছে শেকড়ের খোঁজ। ভয়ঙ্কর অ্যাকশন, বুদ্ধির খেলা, আর রাজনৈতিক চালÑতিনের সমন্বয়ে ঘটনা গড়াচ্ছে তো বটেই, কিন্তু এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে একটি মাত্র প্রশ্নের মধ্যে। নির্মম এই জঙ্গি কেন বেছে নিয়েছিল বিখ্যাত সে দু’লাইন? জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে রক্তের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে ভালো পরিবার ও ভালোসমাজে বেড়ে ওঠা ভদ্র সন্তান কীভাবে নিষ্ঠুর এক জঙ্গিতে পরিণত হতে পারে তা-ই জানতে হবে মূর্তজাকে। ভালো পরিবার ও ভালোসমাজে বেড়ে ওঠা ভদ্র সন্তান কীভাবে নিষ্ঠুর এক জঙ্গিতে পরিণত হতে পারে তা-ই জানতে হবে মূর্তজাকে।
দবির একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “সাত ব্যক্তি আরশের ছায়ায় আজ আশ্রয় পেয়েছে। এদের মধ্যে ওসব লোকও আছে যাদেরকে কোন সুন্দরী মেয়ে লাগানোর জন্য আহ্বান করেছিলো। কিন্তু তারা আল্লাহর ভয়ে যায়নি। যৌবনকালে আমাকেও এমন করেছিল এক সুন্দরী!” ত্বহা উৎসাহের সাথে জানতে চাইলো, “তারপর? আল্লাহর ভয়ে বিরত ছিলেন?” দবির মাথা নাড়তে নাড়তে বললো, “না রে ভাই। আমাকে আর দ্বিতীয়বার বলা লাগেনি। এক লাফে কম্বলের তলে। দেখছেন না গোড়ালি ডুবে গেছে ঘামে।” ত্বহা ব্যাপারটা লক্ষ্য করলো। সমতল ভূমি। অথচ কোথাও লোকের গোড়ালি পর্যন্ত ঘাম। কোথাও কোমর পর্যন্ত। কেউ কেউ তো ঘামে সাঁতার কাটছে। গলা পর্যন্ত ঘাম তাদের। অথচ সবটাই সমান। বিজ্ঞান আজ কোথায়? আর থাকতে না পেরে গেয়েই উঠলো সে, “আল্লাহর কী কুদরত! লাঠির ভেতর শরবত!” প্রথম যে লোকটা কথা বলেছিল সে এটা শুনেই হাততালি দিয়ে ফেললো, “আখ। ইক্ষু। সুগারক্যান। তাই না?” মাথা দোলালো ত্বহা। “আপনার ইংরেজি তো চমৎকার! নামটা জানা হলো না।” লোকটা হাততালি দিতে দিতে বললো, “আমি? আমি তো শাকিব খান। নাম্বার ওয়ান, শাকিব খান। আসলে আমার নাম মাসুদ রানা। দুনিয়াতে থাকতে শাকিব খান নামে চলতাম। সিনেমার নায়ক।” ভ্রু কুঁচকে গেল ত্বহার, “আপনি-ই তো সেই ফাদার ফিগার, রাইট?” একটা আঙুল তার দিকে পিস্তলের মতো তাক করলো শাকিব খান, “রাইট ইউ আর!” --- হাশরের ময়দানে দবির নিজেকে আরও কিছু উদ্ভট মুসলমানের পাশে আবিষ্কার করলো নিজেকে। একটু পর যে মহাশ্চার্য বিষয়টি আবিষ্কার করবে – সে বিষয়ে কোন ধারণাই তার ছিল না। “নাস্তিক শিকারী” গল্পটি সংকলনের অন্যতম সেরা গল্প। পিছিয়ে নেই বাকি গল্পগুলোও। পাঠককে পড়ার আমন্ত্রণ।