এই উপন্যাস প্রবীণদের নিয়ে। যাঁরা পার করছেন অবসরজীবন। মৃগাঙ্ক ব্যানার্জি নামকরা এক কলেজের প্রিন্সিপাল। আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি কখনো। সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করেছেন। অন্যজন শিশির ঘোষ। থানার ওসি। তাঁর চাকরিজীবন কেটেছে চোর-ডাকাত-বাটপারদের সঙ্গে। আদর্শের দিক দিয়ে তিনি সৎ নন। সন্তানদের মানুষ করতে পারেননি ঠিকমতো। পেশা ও চিন্তার জায়গায় দুই প্রবীণের সামাজিক অবস্থান ভিন্ন, কিন্তু পরিণতি যেন এক! একটা সময়ে যে সমাজে এবং যে পরিবারে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, সেখানে আজ তাঁরা বাতিলের খাতায়। বৃদ্ধ বয়সে মানুষ কেন নিরালম্ব হন? কেন হন উন্মূলিত? কোন প্রলোভনে মানুষ তার শৈশবকে ভোলে? অস্বীকার করে পিতা-মাতার বাৎসল্যকে? সেই প্রলোভনের নাম কি নারীদেহ? না অন্য কিছু? হরিশংকর জলদাস এসব প্রশ্নের উত্তর খঁুজেছেন একটু দাঁড়াও উপন্যাসে।