হ্যামলেট বা দ্য ট্র্যাজেডি অফ হ্যামলেট, প্রিন্স অব ডেনমার্ক সংক্ষেপে হ্যামলেট নামে বহুল পরিচিত একটি শেক্সপিয়রীয় ট্র্যাজেডি যা ১৫৯৯ এবং ১৬০১ সালের মাঝে কোন একসময় রচিত হয়েছিল। এটি ২৯,৫৫১ টি শব্দ নিয়ে শেক্সপিয়র রচিত সবচেয়ে দীর্ঘতম নাটক। ডেনমার্ক সাম্রাজ্যের পটভূমিতে রচিত নাটকটি যুবরাজ হ্যামলেট ও তার চাচা ক্লদিয়াসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ স্পৃহাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে যিনি সিংহাসন দখলের জন্য হ্যামলেটের পিতাকে হত্যা করেছিলেন এবং হ্যামলেটের জন্মদাত্রী মাকে বিয়ে করেছিলেন। হ্যামলেট কে বিশ্ব সাহিত্যের একটি অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রভাব বিস্তারকারী সৃষ্টিকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয় যার গল্পটি অসংখ্যবার বলবার পরও এর মাধুর্য অনিঃশেষ। অনেকেই তাদের লেখনীতে এর গল্পকে নানাভাবে ধারণ বা আত্মীকরণ বা এডাপ্ট করেছেন।
পুড্ন্হেড উইলসন ১৮৩০ সালে মিসিসিপির তীরে গড়ে ওঠা ডসন ল্যাণ্ডিং নামে এক শহরের পটভূমিতে অমর লেখক মার্ক টোয়েন তার কাহিনির শাখা বিস্তার করেছেন। তখনকার মার্কিন সমাজে দাসপ্রথা কী নির্মম ছিল, সুযোগ পেলে ওই দাস-দাসীরা কীভাবে প্রতিশোধ নিত, রক্সি চরিত্রটি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ছেঁড়া কাঁথা থেকে তুলে রাজসিংহাসনে বসিয়ে দেয়া সত্ত্বেও টম দ্রিস্কল নিজেকে সংশোধন করতে পারেনি, বংশগৌরব অক্ষুন্ন রাখার অন্ধ মোহে তাকে প্রশ্রয় দেয়ায় জজ দ্রিস্কল শেষ পর্যন্ত নিজের সর্বনাশই ডেকে আনলেন। গুবরে উইলসনকে পাঠক ভুলতে পারবেন না। ভুলতে পারবেন না চেম্বারের করুণ পরিণতি। নাটক থেকে আরও গল্প ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের নাম শোনেননি এমন সাহিত্যানুরাগী বিশ্বে বিরল। শেক্সপীয়ারের নাটকগুলো বিশ্বসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সেগুলো থেকে বাছাই করা বিখ্যাত ছটি নাটকের কাহিনি সংকলিত হয়েছে এ বইতে। সহজ, সাবলীল ভাষায় লেখা কাহিনিগুলো সবারই ভাল লাগবে। রব রয় ব্যবসায়ে বসব না, কবিতা লিখব, সাহিত্য করব বললেই তো চলবে না-ফ্র্যাঙ্ককে তা হলে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন ওর বাবা। সে-সমস্যা না হয় কাটল, কিন্তু চাচার ওখানে গিয়ে যে পড়তে হলো আরেক সমস্যায়? না হয় ডাকাতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল ও, কিন্তু মন পেল কি অপরূপা ডায়ানা ভার্ননের? তারপর খবর পেল মস্ত বিপদে পড়ে যাবেন ওর বাবা, যদি না ও সময় মত সাহায্য করতে পারে। একের পর এক জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফ্র্যাঙ্কের জীবনে। তা হলে কি সব কূল হারিয়ে চিরজীবন এক পরাজিতের মতই বাঁচতে হবে ওকে?