দুর্ঘটনাক্রমেই গত শতাব্দীর মাঝামাঝি দুই মার্কিন বিজ্ঞানী পেনজিয়াস ও উইলসন আবিষ্কার করেন কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন। একে বলা হয় মহাবিশ্বের প্রথম আলো। মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ। এই আবিষ্কার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে কসমোলজির। এ বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে সেই আবিষ্কার এবং এর সঙ্গে জড়িত একদল বিজ্ঞানীর আপ্রাণ প্রয়াসের প্রায় অনুপুঙ্খ বিবরণ। বস্ত্তত, বহু যুগ ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার এবং সেই সঙ্গে আমাদের মহাবিশ্বেরও বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এ বইয়ে। মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটন করতে চাওয়া অদম্য একদল বিজ্ঞানীর গভীর অনুসন্ধানের কাহিনিও বলা চলে এ বইকে।
প্রায় প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানবজাতি প্রশ্ন করে আসছে—মহাবিশ্বের সূচনা হলো কীভাবে? আমরা এখানে কেন? প্রাকৃতিক নিয়মকানুন এত সূক্ষ্মভাবে সমন্বয় করা কেন? মহাবিশ্বের এই শ্রেষ্ঠ নকশা বা গ্র্যান্ড ডিজাইনের অর্থ কী? সেটা কি আমাদের মতো জীবসত্তার অস্তিত্বের প্রয়োজনে? নাকি পেছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? মহাবিশ্বের জন্ম ও এ-সংক্রান্ত অন্যান্য প্রশ্ন ও রহস্যের জবাব পেতে মানুষ একসময় আশ্রয় খুঁজেছে দর্শনের কাছে। এখন এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেয় বিজ্ঞান। এই বইয়ে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্ড ম্লোডিনো সেসব জিজ্ঞাসা ও রহস্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে। ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন কোয়ান্টাম তত্ত্ব, আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং হালের বহুল আলোচিত এম-থিওরির ভিত্তিতে। তা বর্ণনা করেছেন সাধারণ পাঠকের উপযোগী সহজ-সরল ভাষায়। হকিংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় বইটি একসময় ছিল আমাজন বেস্টসেলারের তালিকায়। গভীর ভাবনায় সমৃদ্ধ, আকারে সংক্ষিপ্ত এ বই নতুন ভাবনা উসকে দেবে
তাত্ত্বিক পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের লেখা আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞান বই। বইটি লাখো কপি বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ পাঠকই তার গবেষণা বা আবিষ্কার সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি। এ বই মহাবিশ্ব, মহাবিস্ফোরণ ও কৃষ্ণগহব্বর সম্পর্কে তার মৌলিক গবষণার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।