এই বই এক অর্থে ইমদাদুল হক মিলনের আত্মজীবনী,আরেক অর্থে স্মৃতিকথা। জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা বহু স্মৃতির আনাগোনা এই লেখায়। সেই শৈশব কৈশোর থেকে আজকের এই দিন পর্যন্ত। লেখক জীবনের শুরু থেকে যে সব মানুষের আদর স্নেহ আর ভালবাসা তিনি পেয়েছেন,যে সব বড় লেখক কবির স্নেহে ধন্য হয়েছে তাঁর জীবন,সেই সব মানুষ নিয়ে ‘যে জীবন আমার ছিল’। ফাগুন দিনের গোধূলিবেলার আলোর মতো মায়াময় এক ভাষায় লেখা এই বই ।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকাল ৪:৩০ মিনিটে পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেন মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে। অন্যদিকে আমরা তখন ভোলার চরফ্যাশনে নিভৃত এক পল্লীতে। সেখানেই আমরা দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিজয়ে আনন্দ উল্লাস করি। সারা দুনিয়ার মানুষ তখন জানল বিশ্বে একটা নতুন দেশ জন্মের কথা। সে দেশের নাম বাংলাদেশ। এখন আমার জীবনের বিজয় কখন আসবে? সেকথা কে বলতে পারবে? আমি মনে মনে এ প্রশ্নটি করি,কিন্তু প্রকাশ করি না কারো কাছে। নয় মাস রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ভারত এই মুক্তিযুদ্ধে আমাদেরকে অজস্র সাহায্য করেছে। চরফ্যাশনের এক পল্লীতে আমি তখন কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছি।
অশ্রুত একুশ’ বাংলাদেশের মফস্বল শহরের এক প্রতিভাদীপ্ত তরুণের আশ্চর্য আত্মবীক্ষণ। লেখক শাকিল রেজা ইফতি এই আত্মকাহিনীতে বর্ণনা করেছেন ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তাল সমুদ্রে হালবিহীন ভাঙা জাহাজের এক বিপর্যস্ত নাবিকের দুঃসাহসী