মনিকা লিউনস্কি। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রেমিকা। দেখতে আহামরি সুন্দরী নন, তবু ক্লিনটন তাঁর প্রেমে পড়েন। প্রেমিকার জন্য প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন তাঁর রাজত্ব হারাতে বসেছিলেন। শোনা যায়, হিলারি নাকি তখন রেগে-মেগে ক্লিনটনকে কিলঘুষি মেরে বলেছিলেন, 'এই মেয়ের জন্য তুমি প্রেসিডেন্সি খোয়াবে?' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেঁচে থাকবেন। তাঁর সাথে বেঁচে থাকবেন তাঁর প্রেমিকা মনিকা লিউনস্কি।
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এখন সবাই বঙ্গবন্ধু-গ্রেমিক। লেখক দুই দশক যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে বই শুরু। ঘটনাপ্রবাহে বলতে চেয়েছেন বাহ্যিক উন্নয়ন সত্ত্বেও কীভাবে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ ধীরে ধীরে লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়ছে। শেষ করেছেন তির্যকভাবে প্রশ্ন করে-এই কি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ? এতে আছে বহির্বিশ্বের তুলনা। ঘটনাবহুল বইটি সবার ভালো লাগবে।
সাংবাদিক-সাহিত্যিক শিতাংশু গুহ নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লেখেন। ১৬টি কলাম নিয়ে এবারের বই সমালোচনা। এতে রয়েছে সমালোচনা, বউ, অনামীর চিঠি, শাওন, মৃত্যুঞ্জয় মরে গেছে, মৃত্যু, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মহাকাব্য 'শেখ মুজিবের বাংলায়', জিন্দা হু ইয়ার, দুটি বিশ্বযুদ্ধের উৎসস্থল বার্লিন যান, ভারী ওয়ালেট নিয়ে দুবাই ঘুরে আসুন!, বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর কিছু কথা, ভাষাভিত্তিক দেশ বাংলাদেশ?, বাংলাদেশে হিন্দুদের সমস্যা ও সমাধান, সম্পত্তিতে কন্যাসন্তানের অধিকার প্রসঙ্গ, ধর্ম অবমাননা ২০২২ ফিরে দেখা, মার্কিন কংগ্রেসে ১৯৭১ সালে গণহত্যা স্বীকৃতি বিল।
কৈশোর ও যৌবনকালের রোমান্টিক সম্পর্কের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে রচিত একটি উপন্যাস। সাদা এবং কালো, অথবা ভালো এবং মন্দ, অথবা আলো এবং আঁধারের বাইরেও একটি জগৎ আছে। এর বিস্তৃতি মোটা দাগের সাদা ও কালোর চেয়েও অনেক বেশি, যার হদিস আমরা খুব কমই পাই। তেমনি মোহ বা ইনফাচুয়েশন থেকে ভালোলাগা এবং প্রেম-ভালোবাসার পার্থক্য করাও কঠিন। ফলে সৃষ্টি হতে পারে দুঃখ, ঘৃণা ও প্রতিহিংসার মতো পরিস্থিতি। বইটিতে এসবই বর্ণিত হয়েছে কয়েকটি চরিত্রের মাধ্যমে একটিমাত্র গল্পের কাঠামোয়। কাজেই ভালো-মন্দের তাত্ত্বিক বিচার ছাড়াই শুধু উপন্যাসের স্বাদ পাওয়া যাবে বইটিতে।
অনাথ বালিকা ফুলবানু বৃদ্ধ হজমি ওয়ালার খোঁজে জয়বাংলা আচার ঘরে ঢুকে পড়ে। উঁচু তাক থেকে একটি বয়াম ধরার সময় ওর হাতটি ফসকে গেলে ভেতরের পুরনো দরজাটি খুলে যায়। বন্দুকের ক্যাট ক্যাট শব্দের সাথে বারুদের গন্ধের ঝাপটা এসে নাকে লাগে। ফুলবানু আবিষ্কার করে এটি একটি যাদুকরী দরজা। এর ভেতর দিয়ে সে অনায়াসে ১৯৭১ সনে যাতায়ত করতে পারে। অন্য কেউ জানতে পারলে দরজার যাদু চলে যেতে পারে ভেবে সে তা গোপন রাখে। দরজার ওপারে, একাত্তরে, সে এক যুবকের দেখা পায়। মুক্তিযোদ্ধা যুবকটি ছিল শত্রুর হাতে বন্দি। পাকিস্তানিরা ওকে ভীষণ অত্যাচার করে। মুক্তি পেতে যুবকটি বালিকার সাহায্য চায়। সাহায্যের খোঁজে বেরিয়ে ফুলবানু পথে যুদ্ধ, পাকিস্তানিদের ধংসযজ্ঞ, এবং অত্যাচারের নমুনা দেখতে পায়। কিন্তু ফিরে এসে দ্যাখে আচার ঘরটির সাথে যাদুকরী দরজাটিও কেউ ভেঙে ফেলেছে। তাহলে কি ফুলবানু আর বন্দি যুবকের দেখা পাবে না? না পেলে তো কেউ ওর যাদুকরী ভ্রমণের কথা বিশ্বাস করবে না। তাই সেই মুক্তিযোদ্ধা যুবকের দেখা ওর পেতেই হবে...।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার আলোকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্যের তুলনা করে ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে লেখা কয়েকটি রস-রচনা। এর কোনোটি গল্পের আকারে বলা প্রবন্ধ, কোনোটি প্রবন্ধের আকারে বলা গল্প, আবার কোনোটি গল্পের কাঠামোয় লেখা বৈজ্ঞানিক তথ্য। অথচ প্রতিটিতেই রসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গভীর চিন্তার খোরাকও প্রচ্ছন্ন। তাই পড়া শেষ হয়ে গেলেও পাঠকের মনে তার রেশ রয়ে যায়। যে-লেখাগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো পাঠকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন ও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। পাঠক-সমালোচকরা এক কথায় লেখাগুলোকে ‘বৈজ্ঞানিক গলপ্রবন্ধ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। প্রচলিত সংজ্ঞায় বইটিকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি বলা যেতে পারে।
"নির্বাচিত কবিতা" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: "শামস আল মমীনের 'লি শেন' কবিতাটি পড়ে কেন যেন আমি অস্থির হয়ে উঠেছিলাম, আমার মনে হয়েছিল ছুটে যাই লি শেনের কাছে যে একা, বিচ্ছিন্ন বাবা বা মায়ের কাঙাল, যার অন্তরের কান্না প্রতিমুহূর্তে বড় হচ্ছে, বিশাল হচ্ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে ইরাকে, লিবিয়ায়, সিরিয়ায়, আফ্রিকায়, পৃথিবীর দেশে দেশে"- বলেছেন কবি মতিন বৈরাগী। মমীনের কবিতা সহজেই ছুঁয়ে যায় মানুষ, প্রকৃতি ও নিসর্গ। তাই তিনি অনায়াসে বলতে পারেন: 'তোমাদের জন্য রেখে যাব ভরা নদী, খালবিল নদী ও হাওরের কিলবিল মাছ রেখে যাব শস্যক্ষেত ধনেপাতার নরম গন্ধ' তাঁর কবিতা প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, 'সকল বিশ্লেষণ স্থগিত রেখে তাকে শুদ্ধ কবি বলাই আমি সঙ্গত মনে করি। মাত্র গোটা ছয় কবিতার বই লিখিয়াছেন মমীন। তাহাতেই তাহাঁর স্বরলিপি শিলালিপি হইয়া উঠিয়াছে। মমীনের কবিতায় বাংলাদেশের নতুন কথা আছে। আর আছে উত্তর আমেরিকার পুরানা ছবিও। এই অভিজ্ঞতার কিয়দংশ তিনি বাংলা কবিতায় যোগ করিতেছেন। ইহাতে বাংলা কবিতায় একপ্রকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কায়েম করিয়াছেন তিনি। 'নির্বাচিত কবিতা' তারই সত্য উদাহরণ।