বিকেলের দিকে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামল। হৃদি তখন খোলা মাঠে একটা শুকনো খড়ের গাদার ওপর বসেছিল। যতদূর চোখ যায়, কোথাও কেউ নেই। কেবল ধুধু ফসলের মাঠ। মাঠের পাশে নদী। নদীর বুকে শব্দ। সেই শব্দে নুপূরের ছন্দ তুলে নেমে এল বৃষ্টি। হৃদি তটস্থ গলায় বলল, ‘এখন ? এখন কী হবে ?’ ‘কী হবে ?’ ‘এই যে বৃষ্টি চলে এল।’ ‘তাতে কী ?’ ‘আমি এই ভেজা শাড়িতে ফিরব কী করে ?’
“নিঃশব্দ নিনাদ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ‘নিঃশব্দ নিনাদ’-সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ, রাষ্ট্রব্যবস্থা, দর্শন নিয়ে মানসপটে অন্বিত জীবনবােধ ও মননশীলতার প্রত্যক্ষ কিংবা পরােক্ষ অনূভূতির অনন্য রূপায়ণ। আধুনিকতার পরশ, সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ছোঁয়ায় নূতনের আবাহনে ঋদ্ধ হয়েছে এই । যুগান্তর। জাগতিক জীবনে ঐশ্বর্য, আভিজাত্য, প্রাগ্রসরতার মাপকাঠিতে মানবপ্রাণের সাফল্য সবসময়। বিবেচ্য। পরাবাস্তবতা কিংবা অপার্থিব চিন্তার প্রাধান্য এখানে ভীষণ সংকীর্ণ। মননশীলতার বাইরে গিয়ে নিছক প্রাপ্তির নেশায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানবকূল যুগের পর যুগ সমরে অবতীর্ণ হয়েছে, গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে অনিবার্য পরিণতি স্বীকার করেছে। প্রকৃতির অনন্য উপচারে ভূষিত হয়েও নির্বিচারে সেই প্রকৃতিকেই ধ্বংস করেছে। ইতিহাসে ব্যতিক্রমী কিছু প্রাণ জায়গা করে নিয়েছেন, যারা এই জাগতিক কঠিন বাস্তবতার বিরুদ্ধে সােচ্চার হয়ে তীব্র প্রতিবাদে লিপ্ত হয়েছেন। আবার নির্বিবাদী সত্তাবােধের একান্ত অনুভবে এই নির্মম বাস্তবতা থেকে চির অন্তর্ধানে। যাত্রা করেছেন মৌনতাকে সঙ্গী করে। নির্মোহের সাধনায় আত্মস্থ হওয়ার প্রেরণা লাভ করেছেন। প্রকৃতির সুবিশাল । উদারতায় লীন হয়ে জীবনের প্রকৃত স্বরূপ অন্বেষণ করেছেন। আধুনিক নগর জীবনের যান্ত্রিকতা, নৈরাশ্য, অবসাদ, একাকিত্ব ও ঘাত-প্রতিঘাত থেকে মুক্তি পেতে বিমূর্ত প্রকৃতির কাছে আবার ছুটে গিয়েছেন। নিঃসঙ্গতা, মৌনতা ও নির্বাণের আনন্দে জীবনদর্শন অনন্যরূপে প্রতিভাত হয়। তাই যুগান্তরের পথ বেয়ে বিরহ অনুভবে দৃঢ় অব্যক্ত উচ্চারণ ‘নিঃশব্দ নিনাদ।
হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। হুমায়ুন আহমেদের বইসমূহ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। সত্তর দশকের শেষভাগে থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তাঁর গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট হিমু ও মিসির আলি চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে।তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহ পেয়েছে অসামান্য দর্শকপ্রিয়তা। তবে তাঁর টেলিভিশন নাটকগুলি ছিল সর্বাধিক জনপ্রিয়। সংখ্যায় বেশী না হলেও তাঁর রচিত গানগুলোও সবিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর অন্যতম উপন্যাস হলো নন্দিত নরকে, মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া ইত্যাদি। তাঁর নির্মিত কয়েকটি চলচ্চিত্র হলো দুই দুয়ারী, শ্রাবণ মেঘের দিন, ঘেঁটুপুত্র কমলা ইত্যাদি। নবীজি (২০১২) হুমায়ুন আহমেদের অপ্রকাশিত ও অসমাপ্ত বই।
"চলে যায় বসন্তের দিন!" কি অদ্ভূত কথা! বসন্তের দিন কেন চলে যাবে? কোনো কিছুই তো চলে যায় না। এক বসন্ত যায়, আরেক বসন্ত আসে। স্বপ্ন চলে যায়, আবারো ফিরে আসে। আমি হিমু। আমি কেন বলব - 'চলে যায় বসন্তের দিন'।আমার মধ্যে কি কোনো সমস্যা হয়েছে? কী সে্ই সমস্যা?
একজন নিঃসঙ্গ মানুষ। তিনটি যুবতী। একজন নিশিকন্যা। পাঁচজনের অতি বিচিত্র গল্প। তিন যুবতী নিজেদের সব সময় বোরকায় ঢেকে রাখে। নিঃসঙ্গ মানুষটার সঙ্গে হঠাৎ হঠাৎ যখন দেখা হয় তারা একসঙ্গে হাসে। তারা কেন একসঙ্গে হাসে সেটা তারাও জানে না। নিঃসঙ্গ মানুষটা একদিন একজন নিশিকন্যাকে তার বাসায় নিয়ে এলো। শুরু হলো বাসরের গল্প।