উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের ‘বাংলাদেশ : উন্নয়ন ও ভবিষ্যত্ সম্ভাবনা’ নামের গ্রন্থে সাতচল্লিশের দেশভাগের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ননীতি, অহিংস পররাষ্ট্রনীতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। এ গ্রন্থে আরো আছে সাহিত্য দর্শন সমাজ ও মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জারের ‘কথিত তলাবিহীন ঝুড়ি’র পর্যায় থেকে উন্নত দেশের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কিভাবে হলো, আছে তার বিশ্লেষণও। অর্থনীতির নানা নির্দেশনা উঠে এসেছে এ গ্রন্থে। এদিক থেকে এই গ্রন্থের লেখাগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ভিন্ন মাত্রার।
বিকেলের দিকে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামল। হৃদি তখন খোলা মাঠে একটা শুকনো খড়ের গাদার ওপর বসেছিল। যতদূর চোখ যায়, কোথাও কেউ নেই। কেবল ধুধু ফসলের মাঠ। মাঠের পাশে নদী। নদীর বুকে শব্দ। সেই শব্দে নুপূরের ছন্দ তুলে নেমে এল বৃষ্টি। হৃদি তটস্থ গলায় বলল, ‘এখন ? এখন কী হবে ?’ ‘কী হবে ?’ ‘এই যে বৃষ্টি চলে এল।’ ‘তাতে কী ?’ ‘আমি এই ভেজা শাড়িতে ফিরব কী করে ?’
“জোছনায় ফুল ফুটেছে" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ এক ফাল্গুন মাসে আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছি । রাতে অপূর্ব জোছনায় পৃথিবী ভেঙে পড়ছে । শত শত নক্ষত্রও জেগে উঠেছে । পৃথিবী তার সমস্ত সৌন্দর্যের রূপ নিয়ে দাড়িয়ে আছে । জানালা খুলে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । ঘুম ভাঙল গভীর। রাতে । দরজা খুলে নিঃশব্দে আঙিনায় এসে দাঁড়িয়েছি । জোছনায় গাছপালা প্লাবিত । আমের মুকুল, বাতাবি লেবু আর শাদা ফুলের গন্ধ মন পাগল করে তুলছে। কোনাে এক প্রান্ত থেকে হুতুম পেঁচার ডাক ভেসে আসছে—হুদ হুদ হুতুম হুদ । অদ্ভুত এবং একরকম ভয় জাগানিয়া শব্দ । জোছনা, গন্ধ। সব মিলিয়ে বিচিত্র একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে । আমার মন হু হু করে উঠছে। মনে হচ্ছে শব্দ করে কেঁদে উঠি । সুন্দর এই পৃথিবীতে একদিন আমি থাকব না । কিন্তু পৃথিবী তার সমস্ত রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে । আম গাছের ডালের ভিতর দিয়ে অবাক জোছনার কী রহস্য! মুগ্ধ হয়ে দেখছি । মনে হচ্ছে—জোছনায় যেন ফুল ফুটেছে ।
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা হুমায়ূন আহমেদ বেড়াতে ভালোবাসতেন। বেড়ানোর জন্য সঙ্গী হিসেবে চাইতেন পরিবার কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের।তিনি মনে করতেন বেড়ানোর আনন্দ এককভাবে উপভোগের নয়।দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন।এইসব ভ্রমণের কিছু কিছু গল্প তিনি লিখেছেন তাঁর ছয়টি ভ্রমণ-বিষয়ক গ্রন্থে।গ্রন্থগুলো হলো ‘পালের তলায় খড়ম,’ ‘রাবণের দেশে আমি এবং আমরা,’ ‘দেখা না-দেখা,’ ‘হোটেল গ্রেভার ইন,’ ‘মে ফ্লাওয়ার’ ও ‘যশোহা বৃক্ষের দেশে।’ হুমায়ূন আহমেদের গল্প-উপন্যাসের মতো তাঁর ভ্রমণোপাখ্যানগুলোও পাঠকপ্রিয়তায় ধন্য। তাই আশা করা যাচ্ছে, তাঁর ভ্রমণবিষয়ক সমস্ত রচনার সংকলন এই ভ্রমণসমগ্র পাঠকদের ভালো লাগবে। ভূমিকা প্রিয়জনের নিয়ে বেড়াতে পছন্দ করতে হুমায়ূন আহমেদ। বেড়ানোর সময়কার খুব সাধারণ গল্পকেও অসাধারণভাবে বর্ণনা করতেন তিনি।আর উদ্ভট কিছু ঘটনাও যেন অপেক্ষা করত হুমায়ূন আহমেদের জন্যে।তাঁর অনেকগুলি ভ্রমণেরে সঙ্গী আমি।পরে যুক্ত হয়েছে একে একে নিষাদ ও নিনিত। ভ্রমণ থেকে ফিরে হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা বলছেন, আর তাঁর বন্ধুশ্রোতারা কখনো হেসে গড়িয়ে পড়ছে আবার কখনো দেখা যাচ্ছে তাদের চোখের কোনায় পানি; এটি ছিল ‘দখিন হাওয়া’র অতি পরিচিত দৃশ্য।যারা কাছ থেকে তাঁর বেড়ানোর গল্প গুনেছেন শুধু তারাই জানেন কত চমৎকার করেই না সেসব গল্প বলতেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বইগুলি একত্রিত হচ্ছে। আর হুমায়ূন আহমেদ চলে গেছেন এক অচেনা ভ্রমণে। প্রিয়জনদের ছাড়াই, একা।তাঁর এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যদি তাঁর কাছ থেকে জানতে পারতাম! মেহের আফরোজ শাওন দখিন হাওয়া ১৩.০১.২০১৩ সূচিপত্র *পায়ের তলায় খড়ম *রাবণের দেশে *আমি এবং আমরা *দেখা না-দেখা *যশোহা বৃক্ষের দেশে *মে ফ্লাওয়ার *হোটেল গ্রেভার ইন