এই বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে আছে রহস্যের শিহরন, তন্ত্রের মারণভয়, আতঙ্কের করাল ছায়া। এই বই আপনার শিরদাঁড়ায় বইয়ে দেবে ভয়ের হিমেল স্রোত, আপনার মাথার ভেতর যেন এক আতঙ্কের বোধ কাজ করবে। তবু এই বই রহস্যের নয়, তন্ত্রের নয়, ভয়ের নয়। সব ছাপিয়ে এই বই শেষ অবধি হয়ে ওঠে অনন্য মানবিকতার দীপ্ত শিখা, শেষ অবধি শুধুমাত্র ভালোবাসার কথাই বলে – কারণ এতদিনে তো আপনারা জেনেই গেছেন, ‘ভালোবাসাই সবচেয়ে বড়ো তন্ত্র সবচেয়ে বড়ো জাদু’
"‘অন্ধকারের গল্প‘ লেখকের নবম বই। যে ছয়খানি গল্প নিয়ে এই ক্ষুদ্র সংকলনটি রচিত, তাঁর প্রায় প্রতিটিই কোনও না কোনও ম্যাগাজিন, ওয়েবজিন অথবা কোনও সংকলনে পূর্বপ্রকাশিত। গল্পগুলি ভয়ের না, ভুতের না, যে আদিম জান্তব বোধ মানুষের মাথার মধ্যে ক্রমাগত অন্ধকারের উর্ণা বুনে চলে, গল্পগুলি সেই বোধের খোঁজ করে চলে। তাই মানুষের মনের কোণে লুকিয়ে থাকা আদিম বিষণ্ণতা আর অসহায়তা মিশে থাকে প্রতিটি গল্পের পরতে। আসুন পাঠক, সেই অন্ধকারের বহমান নদীতে ডুব দিই। "
"সার-সংক্ষেপঃ “ফোবিয়ান্স নামটা সার্থক স্যার। সবার জন্যই মুর্তিমান ফোবিয়া ছিল ওরা!” একশো এক বি হস্টেল রুম, জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ- হন্টেড রুম নামে পরিচিত। ত্রিশ বছর আগে শ্রেয়স নামের একটি ছেলের রহস্যময় মৃত্যু ঘটে সেই রুমে। তাঁর দশ বছর পড়ে ঐ ঘরে ঘটে আরও একটি মৃত্যু। দু’জনেরই মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট-অ্যাটাক। অধিরাজদের কাছে গোপন্সূত্রে খবর আসে, সুপারি কিলার কালিয়া সুপারি পেয়েছে মাস-মার্ডারের। কিন্তু কালিয়া কিছু করার আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটছে তাদের। হয় কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট-অ্যাটাক, নইলে অ্যাক্সিডেন্ট। ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে স্বাভাবিক ডেথ, কমন ফ্যাক্টর শুধু একটাই – সকলেই মরার আগে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলেন। অতীত কি তবে আবার ফিরে আসতে চাইছে বর্তমানে? ওদিকে নিখোঁজ হল এক হসপিটালের মর্গের অ্যাটেনডেন্ট। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল টাকা ভর্তি ব্যাগ আর ব্র্যান্ডেড মদের বোতল। কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট-অ্যাটাককে কি মার্ডার বলা চলে? কিন্তু মোডাস অপারেন্ডি? আর অস্ত্র? গুলি নেই, ছুরি নেই, বিষও নেই! তবে ভিকটিমরা মরছে কী করে? সূত্র শুধু একটাই – ভয়। – “যো ডর গয়া, সমঝো মর গয়া! আমি ভয় পাই, তাই ভয় দেখিয়েই মারি। পারলে কেউ আমাকে থামিয়ে দেখাক।“ অধিরাজ অ্যাডাল্ট সিরিজের পরবর্তী উপন্যাস – ‘ডেয়ার অর ডাই’। "
"কালীগুণীন এবং বাঘের থাবাঃ দেবেন্দ্র জমিদার হলেও হরেক রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার পাগলামি রয়েছে তাঁর। একখানা প্রাচীন পুথির সন্ধান পেয়ে দেবেন্দ্র আবিষ্কার করে ফেলল এক রহস্যময় আরক! যে আরকের দুর্নিবার প্রভাবে আমূল পরিবর্তন ঘরে মানব শ্রীরে। কী সেই পরিবর্তন? হাতকাটা সাধু কেন নিজের পূর্ণশক্তির প্রয়োগ করে ঝাঁপিয়ে পড়ল এই আরকের সন্ধানে? কালীগুণীন এবং রাহুর গ্রাসঃ সুন্দরবনের একখানা অখ্যাত গাঁয়ে খননকার্য চালাতে গিয়ে উঠে এল একখানা আস্ত প্রাসাদ! প্রাসাদ, নাকি পুরাকালের কোনও কারাগার? কে বন্দি ছিল সেই অন্ধকূপে? এরপরেই গ্রামে শুরু হয় পরপর ভয়ানক নরমেধের পালা… আপাই–নরমেধে আহূতি আবারঃ ডাকিনীর বিল গ্রামে হানা দিল এক অতি ভয়ঙ্কর বিপদ! তীক্ষ্ণ, ক্ষুরধার মেধার এই নৃশংস হত্যাকারী সহস্র রকমের ভেক ধরে, ছলে ভুলিয়ে হত্যা করে গাঁয়ের লোকদের। এক অসামান্য প্রাচীন বিদ্যা, যা আমূল বদলে দিতে পারে পৃথিবীকে। কালীপদ মুখুজ্জে কি পারল দ্বিতীয়বার সেই আপাইয়ের মোকাবেলা করে এই নরমেধকে বন্ধ করতে? কালীগুণীন এবং বাঘামূড়ার আতঙ্কঃ বাঘের হাতে মানুষের মাথা আর ধর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেই দেহে জন্ম নেয় কারা? আরম্ভ হল সাতখানা গাঁ জুড়ে এক নৃশংস নরবাঘের তান্ডব! সে ছলে বলে কৌশলে আরম্ভ করল নৃশংস নরহত্যা। কালীগুণীন কীভাবে লড়বে এই মানুষ আর বাগ-মানুষের মধ্যেকার অসম যুদ্ধ? কালীগুণীন এবং ছিন্নমস্তার পুথঃ গণপতি কবিরাজ সুদূর পর্বতের কোনও এক গাঁ-এ সন্ধান পায় এক মহা আশ্চর্য বিদ্যার যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত নড়িয়ে দিতে সক্ষম! কী সেই বিদ্যা? সেই সাত রাজার ধন পুথিকে হস্তগত করতে আক্রমণ করল এক নরপিশাচ। কালীগুণীন কি পারবে সেই অসম্ভব ধূর্ত নররাক্ষসকে নিজের কূটনৈতিক বুদ্ধি দ্বারা পরাস্ত করতে? "
"কানাওলার ফাঁদঃ নেকড়েমারি গ্রামের আকাশে-বাতাসে কীসের আতঙ্ক? কখনও ধানক্ষেতে, কখনও ডোবার জলে অদৃশ্য কারুর চলে বেড়ানোড় আওয়াজ! কে সে? নেত্রপাণীর বিভীষিকাঃ নেত্রপাণি তালুক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে মেয়েমানুষ… পাঁচমারীর বনে আস্তানা গেড়েছে দু’জন কাপালিক … হচ্ছে ‘অগ্নিমন্থন সাধনা’… কী তাদের উদ্দেশ্য? চন্দ্রপিশাচ রহস্যঃ হিজলপোঁতা গ্রামে আবির্ভূত হলেন সৌম্যদর্শন, শ্বেতবর্ণ কেশধারী এক বৃদ্ধ সাধু… সঙ্গে এক রহস্যময় তাম্রলিপি… কী রহস্য লুকিয়ে আছে তাতে? হোগলামারির নরঘাতকঃ কাঁচা মাংস চিবিয়ে খায় মেয়েটি… তাঁর প্রেমেই পড়ল হোগলামারির জমিদারবাড়ির ছেলে শিবা… শিবা কি জানতে পারবে সুলতার আসল পরিচয়? আপাইঃ সাদা ধোঁয়াটের মতো আকৃতি… লোমশ হাত-পা… সারা দেহের হাড়-মাংস সব ঝলসানো… চোখ দুটো কয়লার ভাঁটির মতো জ্বলছে… কে এই সাক্ষাৎ বিভীষিকা? কী চায় সে? যখন অপশক্তির হাতে জীবনীশক্তি পরাস্ত হতে আরম্ভ করে… অশরীরী অপদেবতার হিংস্র থাবা গ্রাস করতে থাকে একের পর এক গ্রাম, তালুক, শহর… অপারগ মানুষ অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর… ঠিক তখনই… কোনও না কোনও উপায়ে সেখানে আবির্ভুত হন… পিশাচের যম… অপশক্তির সাক্ষাৎ শমন… এক ব্রাহ্মণ… নাম কালীপদ মুখুজ্জে… নিবাস রায়দীঘড়া। "
"কানাওলার ফাঁদঃ নেকড়েমারি গ্রামের আকাশে-বাতাসে কীসের আতঙ্ক? কখনও ধানক্ষেতে, কখনও ডোবার জলে অদৃশ্য কারুর চলে বেড়ানোড় আওয়াজ! কে সে? নেত্রপাণীর বিভীষিকাঃ নেত্রপাণি তালুক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে মেয়েমানুষ… পাঁচমারীর বনে আস্তানা গেড়েছে দু’জন কাপালিক … হচ্ছে ‘অগ্নিমন্থন সাধনা’… কী তাদের উদ্দেশ্য? চন্দ্রপিশাচ রহস্যঃ হিজলপোঁতা গ্রামে আবির্ভূত হলেন সৌম্যদর্শন, শ্বেতবর্ণ কেশধারী এক বৃদ্ধ সাধু… সঙ্গে এক রহস্যময় তাম্রলিপি… কী রহস্য লুকিয়ে আছে তাতে? হোগলামারির নরঘাতকঃ কাঁচা মাংস চিবিয়ে খায় মেয়েটি… তাঁর প্রেমেই পড়ল হোগলামারির জমিদারবাড়ির ছেলে শিবা… শিবা কি জানতে পারবে সুলতার আসল পরিচয়? আপাইঃ সাদা ধোঁয়াটের মতো আকৃতি… লোমশ হাত-পা… সারা দেহের হাড়-মাংস সব ঝলসানো… চোখ দুটো কয়লার ভাঁটির মতো জ্বলছে… কে এই সাক্ষাৎ বিভীষিকা? কী চায় সে? যখন অপশক্তির হাতে জীবনীশক্তি পরাস্ত হতে আরম্ভ করে… অশরীরী অপদেবতার হিংস্র থাবা গ্রাস করতে থাকে একের পর এক গ্রাম, তালুক, শহর… অপারগ মানুষ অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে থাকে মৃত্যুর… ঠিক তখনই… কোনও না কোনও উপায়ে সেখানে আবির্ভুত হন… পিশাচের যম… অপশক্তির সাক্ষাৎ শমন… এক ব্রাহ্মণ… নাম কালীপদ মুখুজ্জে… নিবাস রায়দীঘড়া। "